jdpathology.com.noizeserver.com Open in urlscan Pro
66.85.139.234  Public Scan

URL: https://jdpathology.com.noizeserver.com/
Submission: On March 11 via api from US — Scanned from US

Form analysis 0 forms found in the DOM

Text Content

CALL US

আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন, সদর রোড, নরসিংদী। ০১৭৮০৪০১০২৬ ০১৩২৪৪১৯৭৭০ ০১৭১১৬৯৮৭৫৬
নরসিংদী শহরের গৌরবময় ২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য একটি ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক
সেন্টার।
শনি থেকে বৃহস্পতি :- সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা
শুক্রবার :- সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০ টা
 * হোম
   
 * ডিপার্টমেন্টস
   
   
 * সেবাসমূহ
   
   
 * বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
   
   
 * আরো দেখুন
    * আমাদের সম্পর্কে
    * যোগাযোগ
    * ব্লগ

   
   
 * সিরিয়াল/এ্যপয়েন্টমেন্ট

শনি থেকে বৃহস্পতি :- সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা
শুক্রবার :- সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০ টা
 * হোম
   
 * ডিপার্টমেন্টস
   
   
 * সেবাসমূহ
   
   
 * বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
   
   
 * আরো দেখুন
    * আমাদের সম্পর্কে
    * যোগাযোগ
    * ব্লগ

   
   
 * সিরিয়াল/এ্যপয়েন্টমেন্ট

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার)

 1.  
 2.  
 3.  
 4.  
 5.  
 6.  
 7.  
 8.  
 9.  
 10. 
 11. 
 12. 
 13. 
 14. 
 15. 


Previous Next

স্বাস্থ্য সেবা

শনি - বৃহস্পতি :- সকাল ৮ টা - রাত ১০ টা ০১৭৮০৪০১০২৬ ০১৩২৪৪১৯৭৭০ ০১৭১১৬৯৮৭৫৬





বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

বিস্তারিত দেখুন




ডায়াগনস্টিক

বিস্তারিত দেখুন




ডিপার্টমেন্টস

বিস্তারিত দেখুন

দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) যাত্রার
প্রারম্ভকাল থেকেই সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে।
দেশের সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল-এর স্বনামধন্য ডাক্তারগণ নিয়মিত জে ডি প্যাথলজি
সেন্টার-এ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি
প্যাথলজি সেন্টার)-এ রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন মেডিকেল ল্যাবরেটরি এবং
রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় করার লক্ষ্যে দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।

ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) সর্বদা রোগীর
স্বার্থে কাজ করে, নিবিড় যত্ন এবং চমৎকার স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং সর্বনিম্ন খরচের
মধ্যে কার্যকরী চিকিৎসা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোগীর সুস্থ জীবনযাত্রায়
অবদান রাখতে আমরা বিশ্বাস করি যে রোগী ও তার পরিবার আমাদের দায়িত্ববোধের অংশ।

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার)

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) যাত্রার
প্রারম্ভকাল থেকেই সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে।

শনিবার :- সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা রবিবার :- সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা সোমবার :-
সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা মঙ্গলবার :- সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা বুধবার :- সকাল ৮
টা থেকে রাত ১০ টা বৃহস্পতিবার :- সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা শুক্রবার :- সকাল ৭ টা
থেকে রাত ১০ টা ইমার্জেন্সি :- ২৪ ঘন্টা সেবা


জে ডি প্যাথলজি সেন্টারের অঙ্গীকার,
নরসিংদীতে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠা করা।
.............
শৈব সাহা শ্রী কৃষ্ণ
সিরিয়াল/এ্যপয়েন্টমেন্ট


এক নজরে আমাদের সেবাসমূহ

দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দ্বারা ল্যাবের সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং মানসম্পন্ন
রিপোর্টিং ডাক্তার দ্বারা রিপোর্ট প্রদান।

ডেন্টাল এক্সরে (OPG)

ডেন্টাল এক্স-রে (OPG) কী ?

একজন ডেন্টিস্ট সচরাচর দুই ধরণের এক্স-রে করতে বলেন। একটি হলো পেরিএপিকাল এক্স-রে
(periapical x-ray)। আর অন্যটি হল ওপিজি ((OPG)। পেরিএপিকাল এক্স-রে গুলো আকারে ছোট
এবং এটি সাধারণত দুই বা তিনটা দাঁতের প্রতিচ্ছবি ধারণ করতে পারে। আর ওপিজি গুলো বড়
এক্স-রে যা মুখের সব গুলো দাঁতের প্রতিচ্ছবি ধারণ করতে পারে। একই সাথে দাঁতের
আশেপাশে হাড়ের মধ্যে কোন টিউমার বা অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা তাও দেখতে পাওয়া যায়
এতে। এই হল দাঁতের এক্স-রের প্রাথমিক পরিচিতি।

 * এবার মনে করুন, আপনার কোন একটি বা পাশাপাশি দুটি দাঁত শিরশির করছে কিংবা ব্যথা
   করছে কিন্তু আপনি আয়নায় দাঁতে কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি আসলেন আপনার
   ডেন্টিস্টের কাছে। তখন ডেন্টিস্ট আপনাকে একটি এক্স-রে করার পরামর্শ দিবেন। এই
   এক্স-রে তে দেখা যাবে আপনার দাঁতের ভেতরে কি সমস্যার কারনে দাঁত ব্যথা বা শিরশির
   করছে, যা দাঁতের বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না।
 * আবার ধরুণ আপনার শিশু সন্তানের দাঁত তুলতে হবে। দাঁত হালকা নড়ে কিন্তু
   সাধারনভাবে টেনে তোলার উপযোগী নয়। তখন আপনাকে এক্স-রে করতে হবে। কেননা এই দাঁত
   শিশুর দুধ দাঁত এবং এর নিচ থেকেই আসছে তার স্থায়ী দাঁত। যদি কোন কারনে তার
   স্থায়ী দাঁত তৈরী না হয় তাহলে শিশুর দুধ দাঁত তুলে ফেললে সেই জায়গা সারাজীবন
   ফাঁকা থেকে যাবে। উপরন্তু পাশের দাঁত গুলো সেই ফাঁকা জায়গার দিকে সরে আসতে
   থাকবে। পুরো মুখের দাঁত গুলোই বিশ্রী হয়ে যাবে। সেটা ঠিক করতে আপনাকে হয়তো অনেক
   টাকা খরচ করতে হবে সাথে আফসোস বিনামূল্যে। অথচ মাত্র ১০০-২০০ টাকার একটি এক্স-রে
   করলেই আপনি এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারতেন।
 * দাঁত থেকে পুঁজ আসছে। কিংবা দাঁতের মাড়ির কোন জায়গায় অনেকটা ফুলে আছে। অথচ আপনি
   নিয়মিত ব্রাশ করেন। কি করতে হবে বুঝতে পারছেন না। ডেন্টিস্ট এর কাছে আসলে আপনাকে
   এক্স-রে করতে বলা হল। এই এক্স-রে তে বোঝা যাবে আপনার এই ফোলা কি আসলে কোন ফোঁড়া
   (cyst, abscess) নাকি কোন টিউমার অথবা অন্য কি কারনে ফুলে আছে জায়গাটা। আপনি
   এক্স-রে করার ঝামেলা এড়াতে মুখের ফোলাটাকে গুরুত্ব দিলেন না। পরবর্তীতে জটিল
   অপারেশনে আপনার চোয়ালের একাংশ কেটেও ফেলতে হতে পারে। অথচ সহজ সমাধান ছিল মাত্র
   একটি এক্স-রে।
 * আপনার বয়স ২৫ বছরের বেশি তাও আক্কেল দাঁতের কোন চিহ্নও নেই। এক্স-রে করলেই বোঝা
   যাবে কি অবস্থায় আছে আপনার আক্কেল দাঁতগুলো।
 * রুট ক্যানেল করতে হবে আপনার দাঁতে। এক্স-রে ছাড়া বোঝা যাবে না আপনার দাঁতের শিকড়
   মাড়ির কতটা ভেতরে ঢুকে আছে।
 * স্থায়ী দাঁত অল্প বয়সেই নড়তে শুরু করেছে। এক্স-রে করে দেখতে হবে কি কারনে নড়ছে।

আসলে এক্স-রে এর প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করার মত না। খালি চোখে যা দেখা যায় না তা
দেখার জন্যই এক্স-রে এর প্রয়োজন হয়। আপনি ভালো ট্রিটমেন্ট চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই
ডেন্টিস্টকে সাহায্য করতে হবে, তিনি যেন আপনার দাঁত ও মাড়ির ভেতর ও বাহিরের অবস্থা
সম্পর্কে সম্যক ধারণা পান। তারই একটি প্রকৃয়া হল দাঁতের এক্স-রে।

এবার আসি রেডিয়েশন প্রসঙ্গে। এক্স-রে মানেই রেডিয়েশন। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও
রেডিয়েশনের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন। আবার এক্স-রে এর প্রয়োজনীয়তাকেও অস্বীকার করার
উপায় নেই। তাই দিনের পর দিনের গবেষণা হচ্ছে কিভাবে এক্স-রে মেশিনগুলোকে আরো আধুনিক
করা যায় যেন অল্প রেডিয়েশনেই উদ্দ্যেশ্য হাসিল করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে একটা
মানুষের শরীরে ৫০ গ্রে (রেডিয়েশনের মাপকাঠি) এর বেশি রেডিয়েশন প্রয়োগ করলে সমস্যা
দেখা দিতে শুধু করে। যেমন তার হৃদপিন্ডের কোষগুলোতে রক্ত চলাচল ক্ষতিগ্রস্থ হয়
কিংবা তার স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না। তাছাড়া শরীরের কোষগুলোতে পরিবর্তন ঘটে
যা ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। কিন্তু একটি দাঁতের এক্স-রে তে এর ৮০ ভাগের এক ভাগ
রেডিয়েশন হয়। তাও আবার পুরো মুখের এক্স-রে বা ওপিজি করলেই কেবল এই ৮০ ভাগের এক ভাগ
রেডিয়েশন পাওয়া যায়। পেরিএপিকাল এক্স-রে তে আরো কম রেডিয়েশন হয়। সুতরাং এতে শারীরিক
ক্ষতির চান্স নেই বললেই চলে।

তবে সাবধানতার কোন মার নেই। একজন গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে এই সামান্য রেডিয়েশনও
ক্ষতি করতে পারে তার ভবিষ্যত সন্তানের। তাই ডেন্টিস্টকে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ
অথ্যটি জানাতে ভুলবেন না। এবং তাও যদি জরুরী কারনে এক্স-রে করাতেই হয় তাহলে লিড
এপ্রোন (lead apron) দিয়ে গর্ভবতী নারীর গলা থেকে পেটের নিচের অংশ পর্যন্ত ঢেকে
নেয়া জরুরী।

দাঁতের এক্স-রে অবহেলা করার মত কোন অবকাশ নেই। এই এক্স-রে আপনাকে মারাত্নক রেডিয়েশন
এর সম্মুখীন করে না এবং একজন ডেন্টিস্ট কে আপনার দাঁত ও মাড়ি কতটুকু সুস্থ তা বুঝতে
সাহায্য করে।  তাই আপনার নিজের প্রয়োজনে ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী এক্স-রে করার
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

ভিডিও এন্ডোস্কপি

ভিডিও এন্ডোস্কোপি কী ?

অপারেশন ছাড়া মানবদেহের অভ্যন্তরের অবস্থা পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন কাজে এন্ডোস্কপি
করা হয়।

 

অপটিক্যাল ফাইবার বা এ জাতীয় ব্যবস্থায় আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ধর্ম
ব্যবহার করে শরীরের ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এন্ডোস্কপির জন্য একটি নল
রোগীর মুখে প্রবেশ করানো হয়। এ নলটিকে চিকিৎসক ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
ক্যামেরা এবং আলোক উৎস বাইরে থাকলেও বাঁকানো পথে আলো রোগীর শরীরে প্রবেশ করে এবং
ক্যামেরার মাধ্যমে সে ছবি নেয়া হয়। একটি মনিটরের মাধ্যমে চিকিৎসক এটি পর্যবেক্ষণ
করেন।

 

খাদ্যনালী, পাকস্থলী বা ডুওডেনাম-এর অবস্থা পর্যবেক্ষণ, বায়োপসির জন্য টিস্যু
সংগ্রহ, পলিপ অপসারণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে এন্ডোস্কপি করা হয়। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রে
আলসার আছে কিনা সেটাও বোঝা যায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে। অসতর্কতাবশত পাকস্থলীতে কিছু
প্রবেশের পর আটকে গেলে সেটা অপসারণের জন্যও এন্ডোস্কপি করা হতে পারে।

 

সাধারণত বমি, পেটে ব্যথা, অন্ত্রে সমস্যা, গিলতে অসুবিধা হওয়া, অন্ত্র রক্তক্ষরণ
ইত্যাদি ক্ষেত্রে এন্ডোস্কপি করা হয় । এসব ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে এক্স-রে এর চেয়ে
এন্ডোস্কপি বেশি কার্যকর।

হেমাটোলজি

হেমাটোলজি কি?

Hematology রক্ত গবেষণা এবং এটি সম্পর্কিত রোগ গবেষণা। প্লেলেটগুলি রক্তের অন্যতম
প্রধান সেলুলার উপাদান এবং অস্থি মজ্জাতে মেগ্যাকারিওসাইট থেকে উৎপন্ন ক্ষুদ্র
নিউক্লিয়ট কোষ। এই লার্নিং কার্ডটি রক্তের কোষগুলির উত্পাদন, মর্ফোলজি এবং সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলির একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করে।

রক্ত আপনার শরীর জুড়ে প্রবাহিত একমাত্র টিস্যু। এই লাল তরল শরীরের সমস্ত অংশে
অক্সিজেন এবং পুষ্টির বহন করে এবং আপনার ফুসফুস, কিডনি এবং লিভারে বর্জ্য পণ্যগুলি
নিষ্পত্তি করে। এটি আপনার প্রতিরক্ষা সিস্টেমের একটি অপরিহার্য অংশ, তরল এবং
তাপমাত্রা ভারসাম্য, নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য একটি জলবাহী তরল এবং হরমোনাল
বার্তাগুলির জন্য একটি হাইওয়ে।

Hematology স্বাস্থ্য এবং রোগ রক্ত গবেষণা। হেমাটোলজি পরীক্ষাগুলি সংক্রমণ, প্রদাহ
এবং অ্যানিমিয়া সহ বিভিন্ন অবস্থার নির্দেশ, নির্ণয় এবং মূল্যায়ন করতে ব্যবহার
করা যেতে পারে। হিমোগ্লোবিন (এইচজিবি) – লাল রক্ত কোষে অক্সিজেন বহনকারী প্রোটিন।
মাত্রা রক্তে অক্সিজেন পরিমাণ সরাসরি প্রতিফলন হয়।

ইমিউনোলজি

ইমিউনোলজি কি?

গত দশকের এমএমুনোলজিটি বেশিরভাগ রোগী এবং তাদের ক্লিনিকে সহজে বর্তমান তত্ত্ব এবং
বিতর্কগুলি বুঝতে সক্ষমতার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। ইমিউনোলজি সাহিত্য সেই ক্ষেত্রের
জন্য সংরক্ষিত, যারা ক্ষেত্রের আণবিক ভাষা কথা বলে। তবুও, ইমিউনোলজির ভিতরে একটি
মানুষের অসুস্থতা হিসাবে এইচআইভি বুঝতে এবং জয় করার ক্ষমতা রয়েছে। এদিকে আমি
ইমিউনোলজির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিকাশের কিছুটা হাইলাইট এবং সরল করার চেষ্টা করব যা
ডিসেম্বর 2001 এর 41 তম আইসিএএএসি-তে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা ও পোস্টারের মাধ্যমে
উপস্থাপিত হয়েছিল।

এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের আগেও, এটি জানা গেছে যে যারা পিসিপি নিউমোনিয়া বা কে এস
জ্বরের সাথে অসুস্থ ছিল তাদের কম সিডি 4 + টি-কোষের কারণে অনাক্রম্যতা ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছিল। ২0 বছর পর এইচআইভি কিভাবে টি-কোষের এই হ্রাস ঘটায় তার প্রক্রিয়াগুলি
বোঝা যায় না। যখন কেউ প্রাথমিকভাবে এইচআইভি সংক্রামিত হয়, সিডি 4+ টি-কোষগুলি
দ্রুত পতিত হয়। কিন্তু শীঘ্রই তারপরে সিডি 4 + টি-সেল সংখ্যার পুনরাবৃত্তি হয় যখন
একই সময়ে এইচআইভি ভাইরাস হ্রাস পায়। এইচআইভি সংক্রমণে এই সময়ে ইমিউন সিস্টেমের
এইচআইভি প্রতিলিপি উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ আছে।

মাইক্রোবায়োলজি

মাইক্রোবায়োলজি কি?

আপনি কি কখনো চিন্তা করেছেন- পুচকে ব্যাকটেরিয়াগুলো, বিশালদেহী মানুষ, প্রানী
কিংবা বড় বড় উদ্ভিদগুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে?

যদি সত্যিই খেয়ে ফেলে, তাহলে এর পিছনে অবশ্যই একটা রহস্য আছে। আর এর রহস্যটাই হল
মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীববিজ্ঞান।

 

মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীববিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের এমনই একটি শাখা, যেখানে ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র অনুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি) সম্পর্কে আলোচনা করা
হয়।
প্রকৃতিতে তাদের বিস্তৃতি, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, অন্য প্রানীদের সাথে সম্পর্ক,
মানুষ প্রানী এবং উদ্ভিদের উপর তাদের প্রভাব, পরিবেশে ভৌত ও রাসায়নিক এজেন্টদের
প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া- ইত্যাদি সবকিছু জানার নামই হল মাইক্রোবায়োলজি বা
অনুীববিজ্ঞান।

মুলত অনুজীব থেকে ভ্যাক্সিন ও অ্যান্টিবায়োটিক, প্রোটিন, ভিটামিন ও বিভিন্ন এনজাইম
তৈরীর পদ্ধতি জানা,আবার কোন্ সংক্রামক রোগ কোন্ জীবাণুর আক্রমনে হয়, কিভাবে এরা
জীবদেহে রোগ সৃষ্টি করে, কিভাবে এরা মৃতদেহ পচিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে,এরা কিভাবে
খাবারে পচন ধরায় বা খাবার নষ্ট করে, এবং কোন খাবারকে কিভাবে জীবাণুর আক্রমন থেকে
রক্ষা করা হয় এসব কিছু জানার নামই হল অনুজীববিজ্ঞান।

 

মাইক্রোবায়োলজির গুরুত্বঃ

 

এন্টিবায়োটিক তৈরী হয় বিভিন্ন ছত্রাক থেকে। যেমন- pennicillium notatum থেকে
penicillin, cephalosporium থেকে cephalosporin প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া
পলিমিক্সিন, সাবটিলিন প্রভৃতি এন্টিবায়োটিকগুলোও বিভিন্ন ছত্রাক থেকে প্রস্তুত করা
হয়।

 

কলেরা, টায়ফয়েড, যক্ষা প্রভৃতি রোগের প্রতিষেধক বা ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা হয়
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থেকে। যেমন corynebacterium, bordetolla, clostridium প্রভৃতি
ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রস্তুত করা হয় DPT এর (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার)
প্রতিষেধক বা ভ্যাক্সিন।

 

বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থেকে বিভিন্ন এনজাইম প্রস্তুত করা হয়। যেমন-
Bacillus spp থেকে protease, lipase প্রভৃতি প্রস্তুত করা হয় যা ডিটারজেন্ট তৈরীতে
ব্যবহার করা হয়। lactobacillus থেকে lactase, যা candy তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
এভাবে বিভিন্ন অনুজীব থেকে বিভিন্ন এনজাইম প্রস্তুত করা হয়, যা বিভিন্ন
ইন্ডাষ্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে।

 

বিভিন্ন জৈব এসিড যেমন সাইট্রিক এসিড, অক্সালিক এসিড, ফিউমারিক এসিড প্রভৃতি তৈরীতে
এবং griseofulvin নামক ওষুধ তৈরীতে pennicillium (ছত্রাক) এর ভুমিকাই মুখ্য।

 

Agaricus bisporus (মাশরুম) প্রচুর ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটা মানুষের
জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এটাতে শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, এরা প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন তৈরীতে সহায়তা করে।

 

Anticancer drug “TAXOL” প্রস্তুত করা হয় taxomyces থেকে।

হিস্টোপ্যাথলজি

হিস্টোপ্যাথলজি কি?

হিস্টোপ্যাথলজির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘কোষকলার (tissue) বিকারবিদ্যা’।অর্থাৎ
বিভিন্ন অসুখে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় কিংবা শারীরবৃত্তীয় যে পরিবর্তনগুলো ঘটে তার
সাথে কোষকলার পরিবর্তনের সম্পর্ক স্থাপন করাই এর কাজ।কালের পরিক্রমায় এটা আর
হিস্টোপ্যাথলজির একমাত্র কাজ নয়,সে ব্যাপারে পরে আসছি। আগে একটা উদাহরণ দিয়ে
ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করি।ধরা যাক, রোগীর লসিকা গ্রন্থি (lymph node) ফুলে গেছে।সেই
সাথে তার আছে জ্বর, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। সাথে কিছুটা কাশি আছে। এটুকু তথ্য পেলে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো চিকিৎসক সবার আগে যক্ষার কথা ভাববেন।কিন্তু আসলেই
যক্ষা কিনা তা নিশ্চিত হতে হলে বেশ কিছু পরীক্ষা করা প্রয়োজন। রক্তের রুটিন পরীক্ষা
এবং বুকের এক্সরে থেকে কিছুটা হদিস মিলবে,এমটি টেস্টও খানিকটা সাক্ষ্য দিতে পারে,
কাশির সাথে যদি কফ(sputum) বের হয় তখন সেখানে যক্ষার জীবাণু খুঁজে দেখা যেতে
পারে।তবে ওই লসিকা গ্রন্থি কেন ফুলেছে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে গেলে
হিস্টোপ্যাথলজির বিকল্প নেই।সেক্ষেত্রে রোগীর বর্তমান চিকিৎসক রোগীর ওই ফুলে ওঠা
লসিকা গ্রন্থি কেটে পাঠাবেন আরেকজন চিকিৎসকের কাছে।সেই চিকিৎসক হলেন
হিস্টোপ্যাথলজিস্ট।তিনি তখন সেই লসিকা গ্রন্থিটি অণুবীক্ষণের নিচে পরীক্ষা করে
বলবেন, ঘটনা আসলে কী।যক্ষা তো নাও হতে পারে,যদি লিম্ফোমা (এক ধরণের ক্যান্সার)হয়?
তখন তো পুরো ব্যাপারটাই পাল্টে যাবে!যক্ষার চিকিৎসা তৎক্ষণাৎ বাতিল করে লিম্ফোমার
চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

এখানে যে উদাহরণটি দেওয়া হলো, তা আসলে বেশ খানিকটা সরলীকৃত। সহজে বোঝার স্বার্থে এই
উদাহরণটি দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতা আরেকটু জটিল। এখন আমরা এর কোথায় কোথায় ইচ্ছে করে
সরল করেছি তা দেখবো, তাহলেই বোঝা যাবে হিস্টোপ্যাথলজি আসলে কীভাবে কাজ করে।
সত্যি কথা বলতে, যক্ষার লক্ষণ যদি একদম প্রকট হয় এবং যক্ষার জীবাণু যদি কফের মধ্যে
পাওয়া যায়,তাহলে হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে আসার প্রয়োজন পড়েনা।কিন্তু অনেক সময়ই
যক্ষার লক্ষণগুলো এতো স্পষ্ট থাকে না কিংবা জীবাণুও সহজে ধরা পড়ে না।বাস্তবে খুব কম
রোগই আছে যেগুলো একদম বইয়ের পাতার মতো করে রোগীর দেহে প্রকাশিত হয়।কেননা মেডিসিন বা
সার্জারি বা গাইনির বইতে রোগের যে বর্ণনা থাকে তা হলো ‘আদর্শ’ রোগের বর্ণনা।অর্থাৎ
ওই রোগের কয়েকশ বা হাজার রোগীর লক্ষণ একত্রিত করে সার্বিকভাবে রোগটি কেমন,তার
বর্ণনা।কোনো একজন রোগীর বেলায় ওই বর্ণনা অক্ষরে অক্ষরে মিলবে তা আশা করা উচিত
নয়।তখন রোগীকে দেখে চিকিৎসক কয়েকটি সম্ভাবনার কথা ভাবেন:এই দুটো/তিনটে/পাঁচটা
ইত্যাদি সংখ্যক রোগের মধ্যে হয়তো তার কোনো একটি রোগ হয়েছে।কিন্তু ঠিক কী রোগ তার
হয়েছে তা জানার জন্য ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সাহায্য নিতে হয়।অনেক সময় সাধারণ কিছু
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই রোগটি বোঝা যায়। হয়তো পরীক্ষাটি নিজে শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে
রোগ নির্ণয় করতে পারে না কিন্তু রোগলক্ষণের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষার ফল যতটা নিশ্চয়তা
দেয় তা যথেষ্টই বটে।যেমন:এমটি টেস্ট যদিও খুব বিশ্বাসযোগ্য কোনো পরীক্ষা নয় কিন্তু
যক্ষার অন্যান্য লক্ষণগুলো বেশ স্পষ্টভাবে রোগীর শরীরে প্রকাশিত হলে ওই টেস্টের উপর
ভিত্তি করেই চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। তখনও হিস্টোপ্যাথলজিস্টের ডাক পড়বে না
হয়তো।কিন্তু অনেক সময়ই এমন হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রোগের কোনো কুল-কিনারা করতে
পারছেন না, সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও এমন কিছু পাচ্ছেন না,যা তাকে যথেষ্ট
আত্মবিশ্বাসের সাথে চিকিৎসা শুরু করতে সহায়তা করতে পারে।এটা কিন্তু ওই বিশেষজ্ঞের
অদক্ষতা নয়,বরং প্রকৃতি যে কত বিচিত্র হতে পারে,তার প্রমাণ।এরকম ক্ষেত্রে যদি কোনো
কোষকলা পরীক্ষা করে রোগের সুরাহা করার কোনো সম্ভাবনা থাকে তখনই ডাক পড়ে
হিস্টোপ্যাথলজিস্টের।তাই হিস্টোপ্যাথলজিস্টকে বলা হয় ‘কনসালট্যান্ট অব দ্যা
কনসালট্যান্টস’।চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্যান্য শাখার বিশেষজ্ঞের ক্লায়েন্ট হলো রোগী,
কেননা রোগীরা সরাসরি ওই বিশেষজ্ঞের চেম্বারে যায়।কিন্তু একজন হিস্টোপ্যাথলজি
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ক্লায়েন্ট হলেন চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্যান্য শাখার বিশেষজ্ঞরা,
কেননা তাঁরা যখন বিশেষজ্ঞ মতামত চান তখনই কেবল রোগী বা রোগীর কোষকলার নমুনা
হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে যায়।এজন্য হিস্টোপ্যাথলজিস্টকে মেডিসিন-সার্জারি-গাইনির
প্রায় সমস্ত রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হয়, কারণ তাকে মূলত জবাবদিহি করতে হয়
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে,যার কাছ থেকে রোগী বা তার কোষকলা তার কাছে পরীক্ষার
জন্য এসেছে।তাই হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে পাঠানোর সময় রোগীর যাবতীয় ইতিহাস, আগের
পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ এবং চিকিৎসার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। কেননা একজন
হিস্টোপ্যাথলজিস্ট সেখান থেকে রোগীর রোগনির্ণয় শুরু করেন,যেখানে অন্যরা থেমে
গিয়েছেন।তাই আগের সমস্ত ঘটনা জানাটা সঠিক রোগনির্ণয়ের পূর্বশর্ত।ব্যাপারটা এমন নয়
যে,আগের রিপোর্ট বা ইতিহাস জানা থাকলে হিস্টোপ্যাথলজিস্ট biased হয়ে যাবেন।বরং তা
না জানা থাকলে রোগীর ভোগান্তি বাড়বে বৈ কমবে না। চিকিৎসকের চেম্বারে আস্ত রোগীটা
যায়, কিন্তু হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে আসে স্রেফ তার দেহের টুকরো!এমনকি অনেক
চিকিৎসকের ধারণা, অণুবীক্ষণের নিচে দেখলে সব রোগ ফিলিপস বাতির মতো ফকফকা হয়ে
যায়।কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।হিস্টোপ্যাথলজির মানসম্পন্ন পাঠ্যবইগুলোতে বলা হয়েছে,
রোগীর রোগের এবং চিকিৎসার পূর্ণ বিবরণ না পাওয়া গেলে একজন হিস্টোপ্যাথলজিস্টের
অধিকার আছে রিপোর্ট স্থগিত রাখার,এমনকি চাইলে তিনি রোগীর টিস্যু-নমুনা গ্রহণ করতেও
অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।

বাংলাদেশে হিস্টোপ্যাথলজিস্টদের যেসব দায়িত্ব পালন করতে হয়,তা মোটামুটিভাবে
পরীক্ষাগার এবং শ্রেণীকক্ষে সীমাবদ্ধ।তবে বহির্বিশ্বে চিত্রটি এমন নয়।সেখানে শুধু
রোগনির্ণয় এবং পাঠদান কিংবা গবেষণা মাত্র নয়,হিস্টোপ্যাথলজিস্টের দায়িত্ব পুলিশি
তদন্তে মেডিকেল এক্সপার্ট হিসেবে ময়নাতদন্ত করা ও মতামত দেওয়া(medicolegal autopsy)
থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগী মারা গেলে তার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানপূর্বক (medical
autopsy) চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না-তার সুলুক সন্ধান করা পর্যন্ত
বিস্তৃত।হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যে ক্লিনিক্যাল
অডিট হয়,সেখানে হিস্টোপ্যাথলজিস্ট বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।মোটকথা, হিস্টোপ্যাথলজিস্টের
দায়িত্ব শুধু রোগনির্ণয়কারী (diagnostitian) থেকে বিস্তৃত হয়ে চিকিৎসাসেবার মান
নিয়ন্ত্রকের (quality controller) পর্যায়ে চলে যায়।অবশ্য যদি শুধু রোগ নির্ণয়ের কথা
ধরা যায়, সেদিক থেকেও হিস্টোপ্যাথলজিস্টদের কাছে চিকিৎসকদের প্রত্যাশাও বাড়ছে।উন্নত
বিশ্বে একজন কনসালট্যান্ট যখন তার কোনো রোগীর ব্যাপারে হিস্টোপ্যাথলজিস্টের পরামর্শ
নিচ্ছেন,তখন আর শুধু রোগের নাম (diagnosis) জেনে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না, সেই রোগের
সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ শ্রেণিবিভাগ(classification) থেকে শুরু করে রোগটির সম্ভাব্য
পরিণতি (prognostication) প্রতিটি রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা-পরিকল্পনার
(individualized/targeted therapy)কথা আশা করছেন হিস্টোপ্যাথলজিস্টের
রিপোর্টে।অর্থাৎ হিস্টোপ্যাথলজি আর কেবল paraclinical বিষয় নয়,বরং clinical বিষয়
হয়ে উঠেছে।কেননা, কোন চিকিৎসা কোন রোগীর জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, সেটাও বলে দিতে
হচ্ছে হিস্টোপ্যাথলজিস্টকেই। হিস্টোপ্যাথলজিস্টের দায়িত্বের এতো বিস্তৃতি ঘটার
কারণে এখন উন্নত বিশ্বে এই শাখাটির অনেক উপশাখা (subspeciality) সৃষ্টি হয়েছে।যেমন:
dermatopathology, neuropathology, forensic pathology ইত্যাদি।অতো দূরে যাই কেন,
আমাদের দেশেও মাত্র কয়েক দশক আগে hematology (রক্তরোগবিদ্যা) হিস্টোপ্যাথলজির
allied subject ছিল,এখন রীতিমতো পৃথক একটি ক্লিনিক্যাল বিষয়।

হিস্টোপ্যাথলজিস্ট হতে চান? খুব ভালো কথা। কারণ এই পেশাটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হওয়া
সত্ত্বেও পরিবারের সাথে সময় কাটানো,গবেষণা বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য
যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়,যেটা চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্য অনেক শাখায় খুব মুশকিল।বাংলাদেশে
দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা যায়: MD এবং FCPS।হিস্টোপ্যাথলজিস্ট হতে চাইলে
এর অন্তত একটি অর্জন করাই যথেষ্ট।বর্তমানে MD ডিগ্রিটি বাংলাদেশে দিয়ে থাকে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।যদিও এটি হিস্টোপ্যাথলজির উপরে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি,তবু ঐতিহাসিক কারণে এর নাম এখনো MD in Pathology;যদিও হওয়া উচিত
ছিল MD in Histopathology। এই MD in Pathology রেসিডেন্সি কোর্সের মেয়াদ চার
বছর,এতে যদিও মূলত হিস্টোপ্যাথলজিস্ট বানানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে, তবু নন-মেজর
বিষয় হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি, ইমিউনোলজি,
বায়োকেমিস্ট্রি,হেমাটোলজি,ট্রান্সফিউশন মেডিসিন প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।আর এবিষয়ে BCPS
কর্তৃক প্রদত্ত FCPS ডিগ্রিটি অবশ্য FCPS in Histopathology হিসেবে পরিচিত এবং এর
পাঠ্যক্রম রেসিডেন্সি কোর্সের অনুরূপ।হিস্টোপ্যাথলজিতে বাংলাদেশে প্রাপ্ত
ডিগ্রিগুলো ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মধ্যপ্রাচ্যের
দেশগুলোতে কমবেশি স্বীকৃত এবং সেসব দেশে হিস্টোপ্যাথলজিস্টের চাহিদাও কম নয়।তবে
পৃথিবীর সব দেশে সমানভাবে স্বীকৃত ডিগ্রিগুলোর একটি হলো FRCPath, যেটি বিলেতের
Royal College of Pathologist দিয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় আশি
শতাংশ!তবে আফসোসের বিষয় হলো, FRCPath পরীক্ষার কোনো অংশ বাংলাদেশ থেকে দেওয়া যায়
না।কেউ চাইলে খোদ হিস্টোপ্যাথলজিতে FRCPath না করে সরাসরি এর কোনো শাখায় (পূর্বে
উল্লিখিত)ডিগ্রিটি নিতে পারেন। বলে রাখা ভালো, বহির্বিশ্বে চিকিৎসাশাস্ত্রের
হিস্টোপ্যাথলজি শাখাটি Surgical Pathology, Anatomic Pathology ইত্যাদি নানা নামে
পরিচিত।

৮০ স্লােইস সিটি স্ক্যান

যেসব ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করা হয়ঃ

 * ক্যান্সার বা টিউমার নির্ণয়।
 * মস্তিষ্কের রোগ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা নির্ণয়।
 * হৃদযন্ত্রের কোন রোগ বা রক্ত প্রবাহে কোন বাধা রয়েছে কিনা জানতে।
 * ফুসফুসের রোগ নির্ণয়।
 * হাড় ভাঙ্গা বা অন্য কোন সমস্যা নির্ণয়।
 * কিডনী বা মূত্রসংবহন তন্ত্রের কোন রোগ বা পাথর সনাক্ত করা।
 * পিত্তথলি, লিভার বা অগ্নাশয়ের রোগ নির্ণয়।। বায়োপসি করার ক্ষেত্রে গাইড হিসেবে
   সিটি স্ক্যানের সাহায্য নেয়া হতে পারে।
 * ক্যান্সার রোগীর ক্যান্সারের বিস্তৃতি সম্পর্কে জানতে সিটি স্ক্যান করা হয়।

এছাড়া যেসব রোগীকে পেস মেকার, ভাল্ভ বা এ জাতীয় যন্ত্র দেয়া হয়েছে তাদের এমআরআই করা
যায় না, এ কারণে সিটি স্ক্যান করতে হয়। এটি রুটিন পরীক্ষা নয়, অর্থাৎ চিকিৎসকের
পরামর্শ ছাড়া কখনোই করানো যাবে না। সিটি স্ক্যানে প্রচুর কিলোভোল্টের রেডিয়েশন
শরীরে প্রবেশ করানো হয় বলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো নয়। গর্ভাবস্থায় কখনো নয়,
এতে বাচ্চাদের ক্ষতি হবে। সিটি স্ক্যানের ক্ষতিকারক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
বললেই চলে।

ডিজিটাল এক্স-রে

এক্স-রে হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিমভাবে তৈরি তেজস্ক্রিয় রশ্মি, যা দিয়ে মানব দেহের
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্থান ভেদে চিকিৎসাও প্রদান করা হয়। এক্স-রে কি
ক্ষতিকারক : অবশ্যই। যদিও শরীর অল্পদিনের মাঝেই সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়। তবে কিছু কিছু
ক্ষেত্রে এটি অপূরণীয়। এতে শরীরের স্থায়ী কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাত্র একটি
এক্স-রে কণা একটি মূল্যবান কোষ ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। তবে সব সময় সবারই যে একইরকম
ক্ষতি হবে বা হবেই বা এটা বিতর্কসাপেক্ষ।

ফলাফল : যদি মানব ভ্রূণ সৃষ্টির শুরুতে কোনো কোষ নষ্ট হয়, এর প্রভাবও শিশুটির ওপর
পড়তে পারে। শিশুটি বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিতে পারে অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।
কারণে অকারণে বারবার এক্স-রে করালে শরীরের জনন কোষগুলোর (শুক্রাশয় বা ডিম্বাশয়) ওপর
এর প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এক্স-রের
সংস্পর্শে থাকেন বা থাকবেন তাদের ত্বকের ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, চোখে ছানিপড়া,
খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।

এক্স-রে কি করা যাবে না : অবশ্যই যাবে। এটি একটি অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে অতি
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। উন্নত বিশ্বে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এক্স-রে পরীক্ষা লিখতে বা
করাতে পারেন না। এ ক্ষমতা সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ডাক্তারের হাতে থাকে। আমাদের দেশে
যত্রতত্র এর ব্যবহার হয়ে থাকে, তাই আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে অনেকাংশে এর খারাপ
প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।

4D কালার আলট্রাসনোগ্রাফি

আলট্রাসনোগ্রাফি কি?

আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক ছবি নেয়া হলে সেটাকে ৩ডি বলা হয়। আর গতিশীল
ছবি অর্থাৎ চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময় থাকলে সেটা ৪ডি আলট্রাসনোগ্রাফি।

গর্ভধারণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে। পূর্ববর্তী
মাসিকের সাড়ে চার সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের থলে এবং পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের
থলের মধ্যে আরেকটি ক্ষুদ্র থলে (ইয়ক স্যাক) দেখে শনাক্ত করা যায় গর্ভধারণ হয়েছে কি
না। আর সাড়ে পাঁচ সপ্তাহ পর ভ্রূণ দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাফি বা অতিশব্দ পরীক্ষা করার কোনো নির্ধারিত সময়সূচি
নেই। কোনো সমস্যা বা সন্দেহ থাকলে পরীক্ষাটা করতে হবে। গর্ভধারণ করার সাত সপ্তাহ
পর আলট্রাসনোগ্রাফি করলে গর্ভস্থ শিশুকে দেখা যায় এবং হৃৎপিণ্ডের চলাচল বোঝা যায়।
১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে নাকের হাড় এবং ঘাড়ের পেছনের দিকের পানিপূর্ণ থলে দেখা
হয়, যার মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক ত্রুটিযুক্ত শিশু প্রসবের আশঙ্কা থাকলে তা বোঝা
যায়। ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের দিকে ভ্রূণের গঠনগত ত্রুটিগুলো ভালোবোঝা যায়। ৩২
সপ্তাহের সময় সাধারণত ভ্রূণের বৃদ্ধি, ওজন,বাহ্যিক অবস্থা দেখা হয়।

আগে করা সনোগ্রাফিগুলোতে কোনো ত্রুটি সন্দেহ করলে এ পর্যায়ে তা মিলিয়েদেখা হয়।
২৪ সপ্তাহের পর গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। তবে চিকিৎসা-সংক্রান্ত
বিশেষকারণ ছাড়া লিঙ্গ উল্লেখ না করাই ভালো। বিশ্বের অনেক দেশেই গর্ভস্থ শিশুর
লিঙ্গ উল্লেখ না করার বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

এক্স-রে, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রশ্মি ব্যবহার করা হয়,
যাশরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাফিতে অতিশব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
এই তরঙ্গের উল্লেখ করার মতো ক্ষতিকর দিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটাও বলে রাখা
ভালো যে সনোগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য পাওয়ায় ক্ষেত্রে একটা ভালো যন্ত্র থাকা যেমন
গুরুত্বপূর্ণ, তেমনিভাবে যিনি পরীক্ষাটি করছেন তাঁর দক্ষতাও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন
আলট্রাসনোগ্রাফি করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট কারণে বা কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলেই
চিকিৎসকেরপরামর্শ নিয়ে পরীক্ষাটি করানো উচিত।

ডুপ্লেক্স স্টাডি

ডুপ্লেক্স স্টাডি কি?

একটি ক্যারোটিড ডুপ্লেক্স স্ক্যান একটি সহজ এবং ব্যথাহীন পরীক্ষা যা আপনার
ক্যারোটিড ধমনীতে বাধাগুলির জন্য দুটি ধরনের আল্ট্রাসাউন্ডকে সমন্বিত করে। একটি
আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের একটি প্রকার যা আপনার শরীরের ভেতরে একটি ছবি তৈরির জন্য
শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে। আপনার ক্যারোটিড ধমনী আপনার ঘাড় উভয় পাশ বরাবর অবস্থিত।
ব্লককৃত ক্যারোটিড ধমনী স্ট্রোকের জন্য একটি বড় ঝুঁকির কারণ।

দ্বৈত আল্ট্রাসাউন্ড রক্ত প্রবাহ গতি, এবং পা শিরা গঠন তাকান উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি
শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে। “দ্বৈত” শব্দটির অর্থ হল আল্ট্রাসাউন্ডের দুটি পদ্ধতি
ব্যবহার করা হয়, ডপলার এবং বি-মোড। বি-মোড ট্রান্সডুসারার (একটি মাইক্রোফোন মত)
অধ্যয়নরত জাহাজ একটি ইমেজ পায়। ট্রান্সডুসিউসারের মধ্যে ডোপ্লার প্রোবটি জাহাজে
রক্ত প্রবাহের বেগ এবং দিক মূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ক্যারোটিড ডুপ্লেক্স
স্ক্যান ঘাড়ের ক্যারোটিড ধমনী এবং / অথবা ক্যারোটিড ধমনীর শাখাগুলির অক্স্লুশন
(বাধা) বা স্টেনোসিস (সংকীর্ণতা) মূল্যায়নের জন্য সম্পাদিত হতে পারে। এই ধরনের
ডোপ্লার পরীক্ষার ধমনীর একটি 2-মাত্রিক (2-ডি) চিত্র সরবরাহ করে যাতে ধমনীগুলির
ধমনী এবং একটি পদার্থের অবস্থান নির্ধারণ করা যায় এবং সেইসাথে রক্ত প্রবাহের
ডিগ্রী নির্ধারণ করা যায়।

১২ চ্যানেল ই.সি.জি

ই.সি.জি কি?

প্রাথমিকভাবে রোগীকে পরীক্ষা করার পর প্রয়োজন মনে হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ প্রথমে যে
পরীক্ষাটি করাতে বলেন সেটি হচ্ছে ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি। অনেকে একে
ইকেজি-ও বলে থাকেন।

এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা, অর্থাৎ রোগীর শরীর কাটাছেঁড়া করে ভেতরে কিছু প্রবেশ
করানোর প্রয়োজন হয় না।

মোটামুটি পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগে পরীক্ষাটি করতে। হৃদপিন্ড তার স্বাভাবিক ছন্দে
কাজ করছে কিনা, হৃদপিন্ডের অবস্থান, হৃদপেশীর কোন অংশ অতিরিক্ত পুরু হয়ে গেছে কিনা,
হৃদপেশীর কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, রক্ত প্রবাহে কোন অস্বাভাবিকতা আছে কিনা
ইত্যাদি বিষয় হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক ক্রিয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা
হয়।

একটি কাগজে গ্রাফ আকারে ইসিজি পরীক্ষার ফলাফল বা রিপোর্ট তৈরি হয়। আধুনিক ইসিজি
মেশিনগুলোয় তাৎক্ষণিকভাবে একটি ডিসপ্লেতে-ও ইসিজি গ্রাফ পর্যবেক্ষণ করা যায়।

এই গ্রাফ দেখেই চিকিৎসক বুঝে নেন রোগীর হার্ট এটাক আছে কিনা, রক্তে হৃদপিন্ডের জন্য
ক্ষতিকর মাত্রায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি ইলেকট্রোলাইট থাকার
লক্ষণ আছে কিনা, উচ্চ রক্তচাপের কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি হয়েছে কিনা।

এজন্য একটি সমতল বিছানায় রোগীকে শুইয়ে দুই হাত, দুই পা এবং হৃদপিন্ডের কাছাকাছি
ছয়টি নির্ধারিত স্থানে ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। পরিবাহীতা বৃদ্ধির জন্য
চামড়ায় বিশেষ ধরনের জেলও লাগানো হয় অনেক সময়।

এ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ব্যাথামুক্ত এবং কোন পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না। তবে কোন
পুরুষের বুকে অতিরিক্ত লোম থাকলে বিদ্যুৎ পরিবাহীতা বাড়ানোর জন্য শেভ করার প্রয়োজন
হতে পারে।

কেবল বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের অভিযোগ নিয়ে আসা রোগীর ক্ষেত্রেই নয়, বয়স্ক রোগীর
অপারেশনের পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবেও ইসিজি করা হয়। তাছাড়া ইসিজি নিয়মিত
স্বাস্থ্য পরীক্ষারও একটি অংশ।

ইসিজি করার পর রোগীর অবস্থা বুঝে আরও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন
চিকিৎসক। এসব পরীক্ষার মধ্যে ইটিটি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি এবং এনজিওগ্রাফি
উল্লেখযোগ্য।

ইকো ও কালার ডপলার

ইকো কার্ডিওগ্রাফি / কালার ডপলার কী ?

উচ্চ কম্পাংকের শব্দ তরঙ্গ বা আলট্রা সাউন্ডের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে হৃৎপেশীর
সঞ্চালন, ভালভ ও প্রকোষ্ঠের বর্তমান অবস্থা এবং হৃদপিণ্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণের
মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয় এ পরীক্ষায়। সাধারণভাবে এটি ইকো নামেও
পরিচিত। এ পরীক্ষার খরচ কিছুটা বেশি।

 

হৃদরোগীর বর্তমান অবস্থা বুঝে করণীয় নির্ধারণে এ পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হৃদপিণ্ডের
ভালভের জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীর অগ্রগতি নির্ণয় কিংবা অস্ত্রোপচার পরবর্তীতে রোগীর
অবস্থা বুঝতে এ পরীক্ষা করা হয়।

প্রস্তুতি

সাধারণ ইকোকার্ডিওগ্রামের জন্য কোন পূর্ব প্রস্তুতি লাগে না। স্বাভাবিক খাবার খেয়ে
টেস্টের জন্য যেতে হবে। আর যদি রোগী হৃদরোগের জন্য নিয়মিতভাবে ওষুধ খেতে থাকেন তবে
সে ওষুধও খেতে হবে। গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ইসিজি ছাড়াই ইকো করা হয়।

 

পরীক্ষা

খালি গায়ে পরীক্ষাটি করতে হয়। রোগীকে বাম দিকে কাত হয়ে পরীক্ষণ টেবিলে শুয়ে পড়তে
বলা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ মনিটরের জন্য রোগীর বুকে তিনটি
ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। আলট্রাসাউন্ড উৎপাদনকারী ট্রান্সডিউসারটি রোগীর
বুকে রেখে আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ছবি নেয়া হয়।

 

পরিষ্কার ছবি পেতে চামড়ায় এবং ট্রান্সডিউসারটির প্রান্তে এক ধরনের জেল লাগানো হয়।
এটি কোনভাবেই চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক নয়।

 

যে শব্দতরঙ্গ উৎপাদন করা হয় তা মানুষের শ্রাব্যতার সীমার বাইরে হলেও দু’একটি
ক্ষেত্রে শোনা যেতে পারে। হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অবস্থানের ছবি নেয়ার জন্য রোগীকে কিছু
সময় পরপর অবস্থান বদলাতেও বলা হয়। অল্প সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ রাখতেও বলা
হতে পারে।

 

এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা এবং কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে জেলের জন্য
চামড়ায় কিছুটা ঠাণ্ডা অনুভূতি হতে পারে, সনোগ্রাফার চামড়ায় ট্রান্সডিউসারটি লাগালে
সামান্য চাপ অনুভূত হতে পারে। পরীক্ষাটি করতে ৪০ মিনিটের মত সময় লাগে এবং পরীক্ষা
শেষে রোগী স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে পারে।

 

পরীক্ষা শেষে রোগীর হৃদযন্ত্রের চিত্র সম্বলিত একটি প্রিন্ট আউট এবং চিকিৎসকের লেখা
একটি রিপোর্ট রোগীকে দেয়া হয়। এ রিপোর্ট দেখে হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি
পরীক্ষাটি করাতে বলেছেন তিনি সিদ্ধান্ত নেন।

ডেন্টাল এক্সরে (OPG)

ডেন্টাল এক্স-রে (OPG) কী ?

একজন ডেন্টিস্ট সচরাচর দুই ধরণের এক্স-রে করতে বলেন। একটি হলো পেরিএপিকাল এক্স-রে
(periapical x-ray)। আর অন্যটি হল ওপিজি ((OPG)। পেরিএপিকাল এক্স-রে গুলো আকারে ছোট
এবং এটি সাধারণত দুই বা তিনটা দাঁতের প্রতিচ্ছবি ধারণ করতে পারে। আর ওপিজি গুলো বড়
এক্স-রে যা মুখের সব গুলো দাঁতের প্রতিচ্ছবি ধারণ করতে পারে। একই সাথে দাঁতের
আশেপাশে হাড়ের মধ্যে কোন টিউমার বা অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা তাও দেখতে পাওয়া যায়
এতে। এই হল দাঁতের এক্স-রের প্রাথমিক পরিচিতি।

 * এবার মনে করুন, আপনার কোন একটি বা পাশাপাশি দুটি দাঁত শিরশির করছে কিংবা ব্যথা
   করছে কিন্তু আপনি আয়নায় দাঁতে কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি আসলেন আপনার
   ডেন্টিস্টের কাছে। তখন ডেন্টিস্ট আপনাকে একটি এক্স-রে করার পরামর্শ দিবেন। এই
   এক্স-রে তে দেখা যাবে আপনার দাঁতের ভেতরে কি সমস্যার কারনে দাঁত ব্যথা বা শিরশির
   করছে, যা দাঁতের বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না।
 * আবার ধরুণ আপনার শিশু সন্তানের দাঁত তুলতে হবে। দাঁত হালকা নড়ে কিন্তু
   সাধারনভাবে টেনে তোলার উপযোগী নয়। তখন আপনাকে এক্স-রে করতে হবে। কেননা এই দাঁত
   শিশুর দুধ দাঁত এবং এর নিচ থেকেই আসছে তার স্থায়ী দাঁত। যদি কোন কারনে তার
   স্থায়ী দাঁত তৈরী না হয় তাহলে শিশুর দুধ দাঁত তুলে ফেললে সেই জায়গা সারাজীবন
   ফাঁকা থেকে যাবে। উপরন্তু পাশের দাঁত গুলো সেই ফাঁকা জায়গার দিকে সরে আসতে
   থাকবে। পুরো মুখের দাঁত গুলোই বিশ্রী হয়ে যাবে। সেটা ঠিক করতে আপনাকে হয়তো অনেক
   টাকা খরচ করতে হবে সাথে আফসোস বিনামূল্যে। অথচ মাত্র ১০০-২০০ টাকার একটি এক্স-রে
   করলেই আপনি এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারতেন।
 * দাঁত থেকে পুঁজ আসছে। কিংবা দাঁতের মাড়ির কোন জায়গায় অনেকটা ফুলে আছে। অথচ আপনি
   নিয়মিত ব্রাশ করেন। কি করতে হবে বুঝতে পারছেন না। ডেন্টিস্ট এর কাছে আসলে আপনাকে
   এক্স-রে করতে বলা হল। এই এক্স-রে তে বোঝা যাবে আপনার এই ফোলা কি আসলে কোন ফোঁড়া
   (cyst, abscess) নাকি কোন টিউমার অথবা অন্য কি কারনে ফুলে আছে জায়গাটা। আপনি
   এক্স-রে করার ঝামেলা এড়াতে মুখের ফোলাটাকে গুরুত্ব দিলেন না। পরবর্তীতে জটিল
   অপারেশনে আপনার চোয়ালের একাংশ কেটেও ফেলতে হতে পারে। অথচ সহজ সমাধান ছিল মাত্র
   একটি এক্স-রে।
 * আপনার বয়স ২৫ বছরের বেশি তাও আক্কেল দাঁতের কোন চিহ্নও নেই। এক্স-রে করলেই বোঝা
   যাবে কি অবস্থায় আছে আপনার আক্কেল দাঁতগুলো।
 * রুট ক্যানেল করতে হবে আপনার দাঁতে। এক্স-রে ছাড়া বোঝা যাবে না আপনার দাঁতের শিকড়
   মাড়ির কতটা ভেতরে ঢুকে আছে।
 * স্থায়ী দাঁত অল্প বয়সেই নড়তে শুরু করেছে। এক্স-রে করে দেখতে হবে কি কারনে নড়ছে।

আসলে এক্স-রে এর প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করার মত না। খালি চোখে যা দেখা যায় না তা
দেখার জন্যই এক্স-রে এর প্রয়োজন হয়। আপনি ভালো ট্রিটমেন্ট চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই
ডেন্টিস্টকে সাহায্য করতে হবে, তিনি যেন আপনার দাঁত ও মাড়ির ভেতর ও বাহিরের অবস্থা
সম্পর্কে সম্যক ধারণা পান। তারই একটি প্রকৃয়া হল দাঁতের এক্স-রে।

এবার আসি রেডিয়েশন প্রসঙ্গে। এক্স-রে মানেই রেডিয়েশন। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও
রেডিয়েশনের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন। আবার এক্স-রে এর প্রয়োজনীয়তাকেও অস্বীকার করার
উপায় নেই। তাই দিনের পর দিনের গবেষণা হচ্ছে কিভাবে এক্স-রে মেশিনগুলোকে আরো আধুনিক
করা যায় যেন অল্প রেডিয়েশনেই উদ্দ্যেশ্য হাসিল করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে একটা
মানুষের শরীরে ৫০ গ্রে (রেডিয়েশনের মাপকাঠি) এর বেশি রেডিয়েশন প্রয়োগ করলে সমস্যা
দেখা দিতে শুধু করে। যেমন তার হৃদপিন্ডের কোষগুলোতে রক্ত চলাচল ক্ষতিগ্রস্থ হয়
কিংবা তার স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না। তাছাড়া শরীরের কোষগুলোতে পরিবর্তন ঘটে
যা ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। কিন্তু একটি দাঁতের এক্স-রে তে এর ৮০ ভাগের এক ভাগ
রেডিয়েশন হয়। তাও আবার পুরো মুখের এক্স-রে বা ওপিজি করলেই কেবল এই ৮০ ভাগের এক ভাগ
রেডিয়েশন পাওয়া যায়। পেরিএপিকাল এক্স-রে তে আরো কম রেডিয়েশন হয়। সুতরাং এতে শারীরিক
ক্ষতির চান্স নেই বললেই চলে।

তবে সাবধানতার কোন মার নেই। একজন গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে এই সামান্য রেডিয়েশনও
ক্ষতি করতে পারে তার ভবিষ্যত সন্তানের। তাই ডেন্টিস্টকে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ
অথ্যটি জানাতে ভুলবেন না। এবং তাও যদি জরুরী কারনে এক্স-রে করাতেই হয় তাহলে লিড
এপ্রোন (lead apron) দিয়ে গর্ভবতী নারীর গলা থেকে পেটের নিচের অংশ পর্যন্ত ঢেকে
নেয়া জরুরী।

দাঁতের এক্স-রে অবহেলা করার মত কোন অবকাশ নেই। এই এক্স-রে আপনাকে মারাত্নক রেডিয়েশন
এর সম্মুখীন করে না এবং একজন ডেন্টিস্ট কে আপনার দাঁত ও মাড়ি কতটুকু সুস্থ তা বুঝতে
সাহায্য করে।  তাই আপনার নিজের প্রয়োজনে ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী এক্স-রে করার
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

ভিডিও এন্ডোস্কপি

ভিডিও এন্ডোস্কোপি কী ?

অপারেশন ছাড়া মানবদেহের অভ্যন্তরের অবস্থা পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন কাজে এন্ডোস্কপি
করা হয়।

 

অপটিক্যাল ফাইবার বা এ জাতীয় ব্যবস্থায় আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ধর্ম
ব্যবহার করে শরীরের ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এন্ডোস্কপির জন্য একটি নল
রোগীর মুখে প্রবেশ করানো হয়। এ নলটিকে চিকিৎসক ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
ক্যামেরা এবং আলোক উৎস বাইরে থাকলেও বাঁকানো পথে আলো রোগীর শরীরে প্রবেশ করে এবং
ক্যামেরার মাধ্যমে সে ছবি নেয়া হয়। একটি মনিটরের মাধ্যমে চিকিৎসক এটি পর্যবেক্ষণ
করেন।

 

খাদ্যনালী, পাকস্থলী বা ডুওডেনাম-এর অবস্থা পর্যবেক্ষণ, বায়োপসির জন্য টিস্যু
সংগ্রহ, পলিপ অপসারণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে এন্ডোস্কপি করা হয়। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রে
আলসার আছে কিনা সেটাও বোঝা যায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে। অসতর্কতাবশত পাকস্থলীতে কিছু
প্রবেশের পর আটকে গেলে সেটা অপসারণের জন্যও এন্ডোস্কপি করা হতে পারে।

 

সাধারণত বমি, পেটে ব্যথা, অন্ত্রে সমস্যা, গিলতে অসুবিধা হওয়া, অন্ত্র রক্তক্ষরণ
ইত্যাদি ক্ষেত্রে এন্ডোস্কপি করা হয় । এসব ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে এক্স-রে এর চেয়ে
এন্ডোস্কপি বেশি কার্যকর।

হেমাটোলজি

হেমাটোলজি কি?

Hematology রক্ত গবেষণা এবং এটি সম্পর্কিত রোগ গবেষণা। প্লেলেটগুলি রক্তের অন্যতম
প্রধান সেলুলার উপাদান এবং অস্থি মজ্জাতে মেগ্যাকারিওসাইট থেকে উৎপন্ন ক্ষুদ্র
নিউক্লিয়ট কোষ। এই লার্নিং কার্ডটি রক্তের কোষগুলির উত্পাদন, মর্ফোলজি এবং সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলির একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করে।

রক্ত আপনার শরীর জুড়ে প্রবাহিত একমাত্র টিস্যু। এই লাল তরল শরীরের সমস্ত অংশে
অক্সিজেন এবং পুষ্টির বহন করে এবং আপনার ফুসফুস, কিডনি এবং লিভারে বর্জ্য পণ্যগুলি
নিষ্পত্তি করে। এটি আপনার প্রতিরক্ষা সিস্টেমের একটি অপরিহার্য অংশ, তরল এবং
তাপমাত্রা ভারসাম্য, নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য একটি জলবাহী তরল এবং হরমোনাল
বার্তাগুলির জন্য একটি হাইওয়ে।

Hematology স্বাস্থ্য এবং রোগ রক্ত গবেষণা। হেমাটোলজি পরীক্ষাগুলি সংক্রমণ, প্রদাহ
এবং অ্যানিমিয়া সহ বিভিন্ন অবস্থার নির্দেশ, নির্ণয় এবং মূল্যায়ন করতে ব্যবহার
করা যেতে পারে। হিমোগ্লোবিন (এইচজিবি) – লাল রক্ত কোষে অক্সিজেন বহনকারী প্রোটিন।
মাত্রা রক্তে অক্সিজেন পরিমাণ সরাসরি প্রতিফলন হয়।

ইমিউনোলজি

ইমিউনোলজি কি?

গত দশকের এমএমুনোলজিটি বেশিরভাগ রোগী এবং তাদের ক্লিনিকে সহজে বর্তমান তত্ত্ব এবং
বিতর্কগুলি বুঝতে সক্ষমতার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। ইমিউনোলজি সাহিত্য সেই ক্ষেত্রের
জন্য সংরক্ষিত, যারা ক্ষেত্রের আণবিক ভাষা কথা বলে। তবুও, ইমিউনোলজির ভিতরে একটি
মানুষের অসুস্থতা হিসাবে এইচআইভি বুঝতে এবং জয় করার ক্ষমতা রয়েছে। এদিকে আমি
ইমিউনোলজির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিকাশের কিছুটা হাইলাইট এবং সরল করার চেষ্টা করব যা
ডিসেম্বর 2001 এর 41 তম আইসিএএএসি-তে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা ও পোস্টারের মাধ্যমে
উপস্থাপিত হয়েছিল।

এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের আগেও, এটি জানা গেছে যে যারা পিসিপি নিউমোনিয়া বা কে এস
জ্বরের সাথে অসুস্থ ছিল তাদের কম সিডি 4 + টি-কোষের কারণে অনাক্রম্যতা ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছিল। ২0 বছর পর এইচআইভি কিভাবে টি-কোষের এই হ্রাস ঘটায় তার প্রক্রিয়াগুলি
বোঝা যায় না। যখন কেউ প্রাথমিকভাবে এইচআইভি সংক্রামিত হয়, সিডি 4+ টি-কোষগুলি
দ্রুত পতিত হয়। কিন্তু শীঘ্রই তারপরে সিডি 4 + টি-সেল সংখ্যার পুনরাবৃত্তি হয় যখন
একই সময়ে এইচআইভি ভাইরাস হ্রাস পায়। এইচআইভি সংক্রমণে এই সময়ে ইমিউন সিস্টেমের
এইচআইভি প্রতিলিপি উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ আছে।

মাইক্রোবায়োলজি

মাইক্রোবায়োলজি কি?

আপনি কি কখনো চিন্তা করেছেন- পুচকে ব্যাকটেরিয়াগুলো, বিশালদেহী মানুষ, প্রানী
কিংবা বড় বড় উদ্ভিদগুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে?

যদি সত্যিই খেয়ে ফেলে, তাহলে এর পিছনে অবশ্যই একটা রহস্য আছে। আর এর রহস্যটাই হল
মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীববিজ্ঞান।

 

মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীববিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের এমনই একটি শাখা, যেখানে ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র অনুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি) সম্পর্কে আলোচনা করা
হয়।
প্রকৃতিতে তাদের বিস্তৃতি, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, অন্য প্রানীদের সাথে সম্পর্ক,
মানুষ প্রানী এবং উদ্ভিদের উপর তাদের প্রভাব, পরিবেশে ভৌত ও রাসায়নিক এজেন্টদের
প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া- ইত্যাদি সবকিছু জানার নামই হল মাইক্রোবায়োলজি বা
অনুীববিজ্ঞান।

মুলত অনুজীব থেকে ভ্যাক্সিন ও অ্যান্টিবায়োটিক, প্রোটিন, ভিটামিন ও বিভিন্ন এনজাইম
তৈরীর পদ্ধতি জানা,আবার কোন্ সংক্রামক রোগ কোন্ জীবাণুর আক্রমনে হয়, কিভাবে এরা
জীবদেহে রোগ সৃষ্টি করে, কিভাবে এরা মৃতদেহ পচিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে,এরা কিভাবে
খাবারে পচন ধরায় বা খাবার নষ্ট করে, এবং কোন খাবারকে কিভাবে জীবাণুর আক্রমন থেকে
রক্ষা করা হয় এসব কিছু জানার নামই হল অনুজীববিজ্ঞান।

 

মাইক্রোবায়োলজির গুরুত্বঃ

 

এন্টিবায়োটিক তৈরী হয় বিভিন্ন ছত্রাক থেকে। যেমন- pennicillium notatum থেকে
penicillin, cephalosporium থেকে cephalosporin প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া
পলিমিক্সিন, সাবটিলিন প্রভৃতি এন্টিবায়োটিকগুলোও বিভিন্ন ছত্রাক থেকে প্রস্তুত করা
হয়।

 

কলেরা, টায়ফয়েড, যক্ষা প্রভৃতি রোগের প্রতিষেধক বা ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা হয়
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থেকে। যেমন corynebacterium, bordetolla, clostridium প্রভৃতি
ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রস্তুত করা হয় DPT এর (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার)
প্রতিষেধক বা ভ্যাক্সিন।

 

বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থেকে বিভিন্ন এনজাইম প্রস্তুত করা হয়। যেমন-
Bacillus spp থেকে protease, lipase প্রভৃতি প্রস্তুত করা হয় যা ডিটারজেন্ট তৈরীতে
ব্যবহার করা হয়। lactobacillus থেকে lactase, যা candy তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
এভাবে বিভিন্ন অনুজীব থেকে বিভিন্ন এনজাইম প্রস্তুত করা হয়, যা বিভিন্ন
ইন্ডাষ্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে।

 

বিভিন্ন জৈব এসিড যেমন সাইট্রিক এসিড, অক্সালিক এসিড, ফিউমারিক এসিড প্রভৃতি তৈরীতে
এবং griseofulvin নামক ওষুধ তৈরীতে pennicillium (ছত্রাক) এর ভুমিকাই মুখ্য।

 

Agaricus bisporus (মাশরুম) প্রচুর ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটা মানুষের
জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এটাতে শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, এরা প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন তৈরীতে সহায়তা করে।

 

Anticancer drug “TAXOL” প্রস্তুত করা হয় taxomyces থেকে।

হিস্টোপ্যাথলজি

হিস্টোপ্যাথলজি কি?

হিস্টোপ্যাথলজির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘কোষকলার (tissue) বিকারবিদ্যা’।অর্থাৎ
বিভিন্ন অসুখে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় কিংবা শারীরবৃত্তীয় যে পরিবর্তনগুলো ঘটে তার
সাথে কোষকলার পরিবর্তনের সম্পর্ক স্থাপন করাই এর কাজ।কালের পরিক্রমায় এটা আর
হিস্টোপ্যাথলজির একমাত্র কাজ নয়,সে ব্যাপারে পরে আসছি। আগে একটা উদাহরণ দিয়ে
ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করি।ধরা যাক, রোগীর লসিকা গ্রন্থি (lymph node) ফুলে গেছে।সেই
সাথে তার আছে জ্বর, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। সাথে কিছুটা কাশি আছে। এটুকু তথ্য পেলে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো চিকিৎসক সবার আগে যক্ষার কথা ভাববেন।কিন্তু আসলেই
যক্ষা কিনা তা নিশ্চিত হতে হলে বেশ কিছু পরীক্ষা করা প্রয়োজন। রক্তের রুটিন পরীক্ষা
এবং বুকের এক্সরে থেকে কিছুটা হদিস মিলবে,এমটি টেস্টও খানিকটা সাক্ষ্য দিতে পারে,
কাশির সাথে যদি কফ(sputum) বের হয় তখন সেখানে যক্ষার জীবাণু খুঁজে দেখা যেতে
পারে।তবে ওই লসিকা গ্রন্থি কেন ফুলেছে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে গেলে
হিস্টোপ্যাথলজির বিকল্প নেই।সেক্ষেত্রে রোগীর বর্তমান চিকিৎসক রোগীর ওই ফুলে ওঠা
লসিকা গ্রন্থি কেটে পাঠাবেন আরেকজন চিকিৎসকের কাছে।সেই চিকিৎসক হলেন
হিস্টোপ্যাথলজিস্ট।তিনি তখন সেই লসিকা গ্রন্থিটি অণুবীক্ষণের নিচে পরীক্ষা করে
বলবেন, ঘটনা আসলে কী।যক্ষা তো নাও হতে পারে,যদি লিম্ফোমা (এক ধরণের ক্যান্সার)হয়?
তখন তো পুরো ব্যাপারটাই পাল্টে যাবে!যক্ষার চিকিৎসা তৎক্ষণাৎ বাতিল করে লিম্ফোমার
চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

এখানে যে উদাহরণটি দেওয়া হলো, তা আসলে বেশ খানিকটা সরলীকৃত। সহজে বোঝার স্বার্থে এই
উদাহরণটি দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতা আরেকটু জটিল। এখন আমরা এর কোথায় কোথায় ইচ্ছে করে
সরল করেছি তা দেখবো, তাহলেই বোঝা যাবে হিস্টোপ্যাথলজি আসলে কীভাবে কাজ করে।
সত্যি কথা বলতে, যক্ষার লক্ষণ যদি একদম প্রকট হয় এবং যক্ষার জীবাণু যদি কফের মধ্যে
পাওয়া যায়,তাহলে হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে আসার প্রয়োজন পড়েনা।কিন্তু অনেক সময়ই
যক্ষার লক্ষণগুলো এতো স্পষ্ট থাকে না কিংবা জীবাণুও সহজে ধরা পড়ে না।বাস্তবে খুব কম
রোগই আছে যেগুলো একদম বইয়ের পাতার মতো করে রোগীর দেহে প্রকাশিত হয়।কেননা মেডিসিন বা
সার্জারি বা গাইনির বইতে রোগের যে বর্ণনা থাকে তা হলো ‘আদর্শ’ রোগের বর্ণনা।অর্থাৎ
ওই রোগের কয়েকশ বা হাজার রোগীর লক্ষণ একত্রিত করে সার্বিকভাবে রোগটি কেমন,তার
বর্ণনা।কোনো একজন রোগীর বেলায় ওই বর্ণনা অক্ষরে অক্ষরে মিলবে তা আশা করা উচিত
নয়।তখন রোগীকে দেখে চিকিৎসক কয়েকটি সম্ভাবনার কথা ভাবেন:এই দুটো/তিনটে/পাঁচটা
ইত্যাদি সংখ্যক রোগের মধ্যে হয়তো তার কোনো একটি রোগ হয়েছে।কিন্তু ঠিক কী রোগ তার
হয়েছে তা জানার জন্য ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সাহায্য নিতে হয়।অনেক সময় সাধারণ কিছু
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই রোগটি বোঝা যায়। হয়তো পরীক্ষাটি নিজে শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে
রোগ নির্ণয় করতে পারে না কিন্তু রোগলক্ষণের সাথে মিলিয়ে পরীক্ষার ফল যতটা নিশ্চয়তা
দেয় তা যথেষ্টই বটে।যেমন:এমটি টেস্ট যদিও খুব বিশ্বাসযোগ্য কোনো পরীক্ষা নয় কিন্তু
যক্ষার অন্যান্য লক্ষণগুলো বেশ স্পষ্টভাবে রোগীর শরীরে প্রকাশিত হলে ওই টেস্টের উপর
ভিত্তি করেই চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। তখনও হিস্টোপ্যাথলজিস্টের ডাক পড়বে না
হয়তো।কিন্তু অনেক সময়ই এমন হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রোগের কোনো কুল-কিনারা করতে
পারছেন না, সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও এমন কিছু পাচ্ছেন না,যা তাকে যথেষ্ট
আত্মবিশ্বাসের সাথে চিকিৎসা শুরু করতে সহায়তা করতে পারে।এটা কিন্তু ওই বিশেষজ্ঞের
অদক্ষতা নয়,বরং প্রকৃতি যে কত বিচিত্র হতে পারে,তার প্রমাণ।এরকম ক্ষেত্রে যদি কোনো
কোষকলা পরীক্ষা করে রোগের সুরাহা করার কোনো সম্ভাবনা থাকে তখনই ডাক পড়ে
হিস্টোপ্যাথলজিস্টের।তাই হিস্টোপ্যাথলজিস্টকে বলা হয় ‘কনসালট্যান্ট অব দ্যা
কনসালট্যান্টস’।চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্যান্য শাখার বিশেষজ্ঞের ক্লায়েন্ট হলো রোগী,
কেননা রোগীরা সরাসরি ওই বিশেষজ্ঞের চেম্বারে যায়।কিন্তু একজন হিস্টোপ্যাথলজি
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ক্লায়েন্ট হলেন চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্যান্য শাখার বিশেষজ্ঞরা,
কেননা তাঁরা যখন বিশেষজ্ঞ মতামত চান তখনই কেবল রোগী বা রোগীর কোষকলার নমুনা
হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে যায়।এজন্য হিস্টোপ্যাথলজিস্টকে মেডিসিন-সার্জারি-গাইনির
প্রায় সমস্ত রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হয়, কারণ তাকে মূলত জবাবদিহি করতে হয়
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে,যার কাছ থেকে রোগী বা তার কোষকলা তার কাছে পরীক্ষার
জন্য এসেছে।তাই হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে পাঠানোর সময় রোগীর যাবতীয় ইতিহাস, আগের
পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ এবং চিকিৎসার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। কেননা একজন
হিস্টোপ্যাথলজিস্ট সেখান থেকে রোগীর রোগনির্ণয় শুরু করেন,যেখানে অন্যরা থেমে
গিয়েছেন।তাই আগের সমস্ত ঘটনা জানাটা সঠিক রোগনির্ণয়ের পূর্বশর্ত।ব্যাপারটা এমন নয়
যে,আগের রিপোর্ট বা ইতিহাস জানা থাকলে হিস্টোপ্যাথলজিস্ট biased হয়ে যাবেন।বরং তা
না জানা থাকলে রোগীর ভোগান্তি বাড়বে বৈ কমবে না। চিকিৎসকের চেম্বারে আস্ত রোগীটা
যায়, কিন্তু হিস্টোপ্যাথলজিস্টের কাছে আসে স্রেফ তার দেহের টুকরো!এমনকি অনেক
চিকিৎসকের ধারণা, অণুবীক্ষণের নিচে দেখলে সব রোগ ফিলিপস বাতির মতো ফকফকা হয়ে
যায়।কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।হিস্টোপ্যাথলজির মানসম্পন্ন পাঠ্যবইগুলোতে বলা হয়েছে,
রোগীর রোগের এবং চিকিৎসার পূর্ণ বিবরণ না পাওয়া গেলে একজন হিস্টোপ্যাথলজিস্টের
অধিকার আছে রিপোর্ট স্থগিত রাখার,এমনকি চাইলে তিনি রোগীর টিস্যু-নমুনা গ্রহণ করতেও
অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।

বাংলাদেশে হিস্টোপ্যাথলজিস্টদের যেসব দায়িত্ব পালন করতে হয়,তা মোটামুটিভাবে
পরীক্ষাগার এবং শ্রেণীকক্ষে সীমাবদ্ধ।তবে বহির্বিশ্বে চিত্রটি এমন নয়।সেখানে শুধু
রোগনির্ণয় এবং পাঠদান কিংবা গবেষণা মাত্র নয়,হিস্টোপ্যাথলজিস্টের দায়িত্ব পুলিশি
তদন্তে মেডিকেল এক্সপার্ট হিসেবে ময়নাতদন্ত করা ও মতামত দেওয়া(medicolegal autopsy)
থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগী মারা গেলে তার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানপূর্বক (medical
autopsy) চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না-তার সুলুক সন্ধান করা পর্যন্ত
বিস্তৃত।হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যে ক্লিনিক্যাল
অডিট হয়,সেখানে হিস্টোপ্যাথলজিস্ট বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।মোটকথা, হিস্টোপ্যাথলজিস্টের
দায়িত্ব শুধু রোগনির্ণয়কারী (diagnostitian) থেকে বিস্তৃত হয়ে চিকিৎসাসেবার মান
নিয়ন্ত্রকের (quality controller) পর্যায়ে চলে যায়।অবশ্য যদি শুধু রোগ নির্ণয়ের কথা
ধরা যায়, সেদিক থেকেও হিস্টোপ্যাথলজিস্টদের কাছে চিকিৎসকদের প্রত্যাশাও বাড়ছে।উন্নত
বিশ্বে একজন কনসালট্যান্ট যখন তার কোনো রোগীর ব্যাপারে হিস্টোপ্যাথলজিস্টের পরামর্শ
নিচ্ছেন,তখন আর শুধু রোগের নাম (diagnosis) জেনে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না, সেই রোগের
সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ শ্রেণিবিভাগ(classification) থেকে শুরু করে রোগটির সম্ভাব্য
পরিণতি (prognostication) প্রতিটি রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা-পরিকল্পনার
(individualized/targeted therapy)কথা আশা করছেন হিস্টোপ্যাথলজিস্টের
রিপোর্টে।অর্থাৎ হিস্টোপ্যাথলজি আর কেবল paraclinical বিষয় নয়,বরং clinical বিষয়
হয়ে উঠেছে।কেননা, কোন চিকিৎসা কোন রোগীর জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, সেটাও বলে দিতে
হচ্ছে হিস্টোপ্যাথলজিস্টকেই। হিস্টোপ্যাথলজিস্টের দায়িত্বের এতো বিস্তৃতি ঘটার
কারণে এখন উন্নত বিশ্বে এই শাখাটির অনেক উপশাখা (subspeciality) সৃষ্টি হয়েছে।যেমন:
dermatopathology, neuropathology, forensic pathology ইত্যাদি।অতো দূরে যাই কেন,
আমাদের দেশেও মাত্র কয়েক দশক আগে hematology (রক্তরোগবিদ্যা) হিস্টোপ্যাথলজির
allied subject ছিল,এখন রীতিমতো পৃথক একটি ক্লিনিক্যাল বিষয়।

হিস্টোপ্যাথলজিস্ট হতে চান? খুব ভালো কথা। কারণ এই পেশাটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হওয়া
সত্ত্বেও পরিবারের সাথে সময় কাটানো,গবেষণা বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য
যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়,যেটা চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্য অনেক শাখায় খুব মুশকিল।বাংলাদেশে
দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা যায়: MD এবং FCPS।হিস্টোপ্যাথলজিস্ট হতে চাইলে
এর অন্তত একটি অর্জন করাই যথেষ্ট।বর্তমানে MD ডিগ্রিটি বাংলাদেশে দিয়ে থাকে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।যদিও এটি হিস্টোপ্যাথলজির উপরে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি,তবু ঐতিহাসিক কারণে এর নাম এখনো MD in Pathology;যদিও হওয়া উচিত
ছিল MD in Histopathology। এই MD in Pathology রেসিডেন্সি কোর্সের মেয়াদ চার
বছর,এতে যদিও মূলত হিস্টোপ্যাথলজিস্ট বানানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে, তবু নন-মেজর
বিষয় হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি, ইমিউনোলজি,
বায়োকেমিস্ট্রি,হেমাটোলজি,ট্রান্সফিউশন মেডিসিন প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।আর এবিষয়ে BCPS
কর্তৃক প্রদত্ত FCPS ডিগ্রিটি অবশ্য FCPS in Histopathology হিসেবে পরিচিত এবং এর
পাঠ্যক্রম রেসিডেন্সি কোর্সের অনুরূপ।হিস্টোপ্যাথলজিতে বাংলাদেশে প্রাপ্ত
ডিগ্রিগুলো ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মধ্যপ্রাচ্যের
দেশগুলোতে কমবেশি স্বীকৃত এবং সেসব দেশে হিস্টোপ্যাথলজিস্টের চাহিদাও কম নয়।তবে
পৃথিবীর সব দেশে সমানভাবে স্বীকৃত ডিগ্রিগুলোর একটি হলো FRCPath, যেটি বিলেতের
Royal College of Pathologist দিয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় আশি
শতাংশ!তবে আফসোসের বিষয় হলো, FRCPath পরীক্ষার কোনো অংশ বাংলাদেশ থেকে দেওয়া যায়
না।কেউ চাইলে খোদ হিস্টোপ্যাথলজিতে FRCPath না করে সরাসরি এর কোনো শাখায় (পূর্বে
উল্লিখিত)ডিগ্রিটি নিতে পারেন। বলে রাখা ভালো, বহির্বিশ্বে চিকিৎসাশাস্ত্রের
হিস্টোপ্যাথলজি শাখাটি Surgical Pathology, Anatomic Pathology ইত্যাদি নানা নামে
পরিচিত।

৮০ স্লােইস সিটি স্ক্যান

যেসব ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করা হয়ঃ

 * ক্যান্সার বা টিউমার নির্ণয়।
 * মস্তিষ্কের রোগ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা নির্ণয়।
 * হৃদযন্ত্রের কোন রোগ বা রক্ত প্রবাহে কোন বাধা রয়েছে কিনা জানতে।
 * ফুসফুসের রোগ নির্ণয়।
 * হাড় ভাঙ্গা বা অন্য কোন সমস্যা নির্ণয়।
 * কিডনী বা মূত্রসংবহন তন্ত্রের কোন রোগ বা পাথর সনাক্ত করা।
 * পিত্তথলি, লিভার বা অগ্নাশয়ের রোগ নির্ণয়।। বায়োপসি করার ক্ষেত্রে গাইড হিসেবে
   সিটি স্ক্যানের সাহায্য নেয়া হতে পারে।
 * ক্যান্সার রোগীর ক্যান্সারের বিস্তৃতি সম্পর্কে জানতে সিটি স্ক্যান করা হয়।

এছাড়া যেসব রোগীকে পেস মেকার, ভাল্ভ বা এ জাতীয় যন্ত্র দেয়া হয়েছে তাদের এমআরআই করা
যায় না, এ কারণে সিটি স্ক্যান করতে হয়। এটি রুটিন পরীক্ষা নয়, অর্থাৎ চিকিৎসকের
পরামর্শ ছাড়া কখনোই করানো যাবে না। সিটি স্ক্যানে প্রচুর কিলোভোল্টের রেডিয়েশন
শরীরে প্রবেশ করানো হয় বলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো নয়। গর্ভাবস্থায় কখনো নয়,
এতে বাচ্চাদের ক্ষতি হবে। সিটি স্ক্যানের ক্ষতিকারক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
বললেই চলে।

ডিজিটাল এক্স-রে

এক্স-রে হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিমভাবে তৈরি তেজস্ক্রিয় রশ্মি, যা দিয়ে মানব দেহের
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্থান ভেদে চিকিৎসাও প্রদান করা হয়। এক্স-রে কি
ক্ষতিকারক : অবশ্যই। যদিও শরীর অল্পদিনের মাঝেই সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়। তবে কিছু কিছু
ক্ষেত্রে এটি অপূরণীয়। এতে শরীরের স্থায়ী কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাত্র একটি
এক্স-রে কণা একটি মূল্যবান কোষ ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। তবে সব সময় সবারই যে একইরকম
ক্ষতি হবে বা হবেই বা এটা বিতর্কসাপেক্ষ।

ফলাফল : যদি মানব ভ্রূণ সৃষ্টির শুরুতে কোনো কোষ নষ্ট হয়, এর প্রভাবও শিশুটির ওপর
পড়তে পারে। শিশুটি বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিতে পারে অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।
কারণে অকারণে বারবার এক্স-রে করালে শরীরের জনন কোষগুলোর (শুক্রাশয় বা ডিম্বাশয়) ওপর
এর প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এক্স-রের
সংস্পর্শে থাকেন বা থাকবেন তাদের ত্বকের ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, চোখে ছানিপড়া,
খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।

এক্স-রে কি করা যাবে না : অবশ্যই যাবে। এটি একটি অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে অতি
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। উন্নত বিশ্বে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এক্স-রে পরীক্ষা লিখতে বা
করাতে পারেন না। এ ক্ষমতা সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ডাক্তারের হাতে থাকে। আমাদের দেশে
যত্রতত্র এর ব্যবহার হয়ে থাকে, তাই আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে অনেকাংশে এর খারাপ
প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।

4D কালার আলট্রাসনোগ্রাফি

আলট্রাসনোগ্রাফি কি?

আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক ছবি নেয়া হলে সেটাকে ৩ডি বলা হয়। আর গতিশীল
ছবি অর্থাৎ চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময় থাকলে সেটা ৪ডি আলট্রাসনোগ্রাফি।

গর্ভধারণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে। পূর্ববর্তী
মাসিকের সাড়ে চার সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের থলে এবং পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের
থলের মধ্যে আরেকটি ক্ষুদ্র থলে (ইয়ক স্যাক) দেখে শনাক্ত করা যায় গর্ভধারণ হয়েছে কি
না। আর সাড়ে পাঁচ সপ্তাহ পর ভ্রূণ দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাফি বা অতিশব্দ পরীক্ষা করার কোনো নির্ধারিত সময়সূচি
নেই। কোনো সমস্যা বা সন্দেহ থাকলে পরীক্ষাটা করতে হবে। গর্ভধারণ করার সাত সপ্তাহ
পর আলট্রাসনোগ্রাফি করলে গর্ভস্থ শিশুকে দেখা যায় এবং হৃৎপিণ্ডের চলাচল বোঝা যায়।
১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে নাকের হাড় এবং ঘাড়ের পেছনের দিকের পানিপূর্ণ থলে দেখা
হয়, যার মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক ত্রুটিযুক্ত শিশু প্রসবের আশঙ্কা থাকলে তা বোঝা
যায়। ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের দিকে ভ্রূণের গঠনগত ত্রুটিগুলো ভালোবোঝা যায়। ৩২
সপ্তাহের সময় সাধারণত ভ্রূণের বৃদ্ধি, ওজন,বাহ্যিক অবস্থা দেখা হয়।

আগে করা সনোগ্রাফিগুলোতে কোনো ত্রুটি সন্দেহ করলে এ পর্যায়ে তা মিলিয়েদেখা হয়।
২৪ সপ্তাহের পর গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। তবে চিকিৎসা-সংক্রান্ত
বিশেষকারণ ছাড়া লিঙ্গ উল্লেখ না করাই ভালো। বিশ্বের অনেক দেশেই গর্ভস্থ শিশুর
লিঙ্গ উল্লেখ না করার বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

এক্স-রে, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রশ্মি ব্যবহার করা হয়,
যাশরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাফিতে অতিশব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
এই তরঙ্গের উল্লেখ করার মতো ক্ষতিকর দিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটাও বলে রাখা
ভালো যে সনোগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য পাওয়ায় ক্ষেত্রে একটা ভালো যন্ত্র থাকা যেমন
গুরুত্বপূর্ণ, তেমনিভাবে যিনি পরীক্ষাটি করছেন তাঁর দক্ষতাও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন
আলট্রাসনোগ্রাফি করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট কারণে বা কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলেই
চিকিৎসকেরপরামর্শ নিয়ে পরীক্ষাটি করানো উচিত।

ডুপ্লেক্স স্টাডি

ডুপ্লেক্স স্টাডি কি?

একটি ক্যারোটিড ডুপ্লেক্স স্ক্যান একটি সহজ এবং ব্যথাহীন পরীক্ষা যা আপনার
ক্যারোটিড ধমনীতে বাধাগুলির জন্য দুটি ধরনের আল্ট্রাসাউন্ডকে সমন্বিত করে। একটি
আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের একটি প্রকার যা আপনার শরীরের ভেতরে একটি ছবি তৈরির জন্য
শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে। আপনার ক্যারোটিড ধমনী আপনার ঘাড় উভয় পাশ বরাবর অবস্থিত।
ব্লককৃত ক্যারোটিড ধমনী স্ট্রোকের জন্য একটি বড় ঝুঁকির কারণ।

দ্বৈত আল্ট্রাসাউন্ড রক্ত প্রবাহ গতি, এবং পা শিরা গঠন তাকান উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি
শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে। “দ্বৈত” শব্দটির অর্থ হল আল্ট্রাসাউন্ডের দুটি পদ্ধতি
ব্যবহার করা হয়, ডপলার এবং বি-মোড। বি-মোড ট্রান্সডুসারার (একটি মাইক্রোফোন মত)
অধ্যয়নরত জাহাজ একটি ইমেজ পায়। ট্রান্সডুসিউসারের মধ্যে ডোপ্লার প্রোবটি জাহাজে
রক্ত প্রবাহের বেগ এবং দিক মূল্যায়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ক্যারোটিড ডুপ্লেক্স
স্ক্যান ঘাড়ের ক্যারোটিড ধমনী এবং / অথবা ক্যারোটিড ধমনীর শাখাগুলির অক্স্লুশন
(বাধা) বা স্টেনোসিস (সংকীর্ণতা) মূল্যায়নের জন্য সম্পাদিত হতে পারে। এই ধরনের
ডোপ্লার পরীক্ষার ধমনীর একটি 2-মাত্রিক (2-ডি) চিত্র সরবরাহ করে যাতে ধমনীগুলির
ধমনী এবং একটি পদার্থের অবস্থান নির্ধারণ করা যায় এবং সেইসাথে রক্ত প্রবাহের
ডিগ্রী নির্ধারণ করা যায়।

১২ চ্যানেল ই.সি.জি

ই.সি.জি কি?

প্রাথমিকভাবে রোগীকে পরীক্ষা করার পর প্রয়োজন মনে হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ প্রথমে যে
পরীক্ষাটি করাতে বলেন সেটি হচ্ছে ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি। অনেকে একে
ইকেজি-ও বলে থাকেন।

এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা, অর্থাৎ রোগীর শরীর কাটাছেঁড়া করে ভেতরে কিছু প্রবেশ
করানোর প্রয়োজন হয় না।

মোটামুটি পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগে পরীক্ষাটি করতে। হৃদপিন্ড তার স্বাভাবিক ছন্দে
কাজ করছে কিনা, হৃদপিন্ডের অবস্থান, হৃদপেশীর কোন অংশ অতিরিক্ত পুরু হয়ে গেছে কিনা,
হৃদপেশীর কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, রক্ত প্রবাহে কোন অস্বাভাবিকতা আছে কিনা
ইত্যাদি বিষয় হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক ক্রিয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা
হয়।

একটি কাগজে গ্রাফ আকারে ইসিজি পরীক্ষার ফলাফল বা রিপোর্ট তৈরি হয়। আধুনিক ইসিজি
মেশিনগুলোয় তাৎক্ষণিকভাবে একটি ডিসপ্লেতে-ও ইসিজি গ্রাফ পর্যবেক্ষণ করা যায়।

এই গ্রাফ দেখেই চিকিৎসক বুঝে নেন রোগীর হার্ট এটাক আছে কিনা, রক্তে হৃদপিন্ডের জন্য
ক্ষতিকর মাত্রায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি ইলেকট্রোলাইট থাকার
লক্ষণ আছে কিনা, উচ্চ রক্তচাপের কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি হয়েছে কিনা।

এজন্য একটি সমতল বিছানায় রোগীকে শুইয়ে দুই হাত, দুই পা এবং হৃদপিন্ডের কাছাকাছি
ছয়টি নির্ধারিত স্থানে ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। পরিবাহীতা বৃদ্ধির জন্য
চামড়ায় বিশেষ ধরনের জেলও লাগানো হয় অনেক সময়।

এ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ব্যাথামুক্ত এবং কোন পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না। তবে কোন
পুরুষের বুকে অতিরিক্ত লোম থাকলে বিদ্যুৎ পরিবাহীতা বাড়ানোর জন্য শেভ করার প্রয়োজন
হতে পারে।

কেবল বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের অভিযোগ নিয়ে আসা রোগীর ক্ষেত্রেই নয়, বয়স্ক রোগীর
অপারেশনের পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবেও ইসিজি করা হয়। তাছাড়া ইসিজি নিয়মিত
স্বাস্থ্য পরীক্ষারও একটি অংশ।

ইসিজি করার পর রোগীর অবস্থা বুঝে আরও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন
চিকিৎসক। এসব পরীক্ষার মধ্যে ইটিটি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি এবং এনজিওগ্রাফি
উল্লেখযোগ্য।

ইকো ও কালার ডপলার

ইকো কার্ডিওগ্রাফি / কালার ডপলার কী ?

উচ্চ কম্পাংকের শব্দ তরঙ্গ বা আলট্রা সাউন্ডের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে হৃৎপেশীর
সঞ্চালন, ভালভ ও প্রকোষ্ঠের বর্তমান অবস্থা এবং হৃদপিণ্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণের
মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয় এ পরীক্ষায়। সাধারণভাবে এটি ইকো নামেও
পরিচিত। এ পরীক্ষার খরচ কিছুটা বেশি।

 

হৃদরোগীর বর্তমান অবস্থা বুঝে করণীয় নির্ধারণে এ পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হৃদপিণ্ডের
ভালভের জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীর অগ্রগতি নির্ণয় কিংবা অস্ত্রোপচার পরবর্তীতে রোগীর
অবস্থা বুঝতে এ পরীক্ষা করা হয়।

প্রস্তুতি

সাধারণ ইকোকার্ডিওগ্রামের জন্য কোন পূর্ব প্রস্তুতি লাগে না। স্বাভাবিক খাবার খেয়ে
টেস্টের জন্য যেতে হবে। আর যদি রোগী হৃদরোগের জন্য নিয়মিতভাবে ওষুধ খেতে থাকেন তবে
সে ওষুধও খেতে হবে। গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ইসিজি ছাড়াই ইকো করা হয়।

 

পরীক্ষা

খালি গায়ে পরীক্ষাটি করতে হয়। রোগীকে বাম দিকে কাত হয়ে পরীক্ষণ টেবিলে শুয়ে পড়তে
বলা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ মনিটরের জন্য রোগীর বুকে তিনটি
ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। আলট্রাসাউন্ড উৎপাদনকারী ট্রান্সডিউসারটি রোগীর
বুকে রেখে আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ছবি নেয়া হয়।

 

পরিষ্কার ছবি পেতে চামড়ায় এবং ট্রান্সডিউসারটির প্রান্তে এক ধরনের জেল লাগানো হয়।
এটি কোনভাবেই চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক নয়।

 

যে শব্দতরঙ্গ উৎপাদন করা হয় তা মানুষের শ্রাব্যতার সীমার বাইরে হলেও দু’একটি
ক্ষেত্রে শোনা যেতে পারে। হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অবস্থানের ছবি নেয়ার জন্য রোগীকে কিছু
সময় পরপর অবস্থান বদলাতেও বলা হয়। অল্প সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ রাখতেও বলা
হতে পারে।

 

এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা এবং কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে জেলের জন্য
চামড়ায় কিছুটা ঠাণ্ডা অনুভূতি হতে পারে, সনোগ্রাফার চামড়ায় ট্রান্সডিউসারটি লাগালে
সামান্য চাপ অনুভূত হতে পারে। পরীক্ষাটি করতে ৪০ মিনিটের মত সময় লাগে এবং পরীক্ষা
শেষে রোগী স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে পারে।

 

পরীক্ষা শেষে রোগীর হৃদযন্ত্রের চিত্র সম্বলিত একটি প্রিন্ট আউট এবং চিকিৎসকের লেখা
একটি রিপোর্ট রোগীকে দেয়া হয়। এ রিপোর্ট দেখে হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি
পরীক্ষাটি করাতে বলেছেন তিনি সিদ্ধান্ত নেন।

prev
next


সেবাসমূহ দেখুন
জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) -এ স্বাগতম


বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার)-এ রয়েছে
অত্যাধনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন মেডিকেল ল্যাবরেটরি এবং রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় করার
লক্ষ্যে দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট

রোগীদের ক্রম অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা

বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান

অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ডিজিটাল ল্যাবরেটরি সুবিধা

দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দ্বারা ল্যাবের সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা

মানসম্পন্ন রিপোর্টিং ডাক্তার দ্বারা রিপোর্ট প্রদান

এয়ার কন্ডিশনিং এবং ল্যাবে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা


বিস্তারিত দেখুন

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) -এর প্রতিষ্ঠাতা


স্বর্গীয় সুরেশ চন্দ্র সাহা

স্বর্গীয় প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র সাহা ১৯৫১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর
উপজেলায় বড়িকান্দি ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ
করেন।

১৯৬৯ সালে বর্তমানে স্টেট মেডিকেল ফ্যাকালিটির অধীনে ইন্সিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি
(IHT), মহাখালী, ঢাকা থেকে মেডিকেল টেকনোলজি ল্যাবরেটরি হিসাবে ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের আগরতলায় জি বি হাসপাতালে
চাকুরিপ্রাপ্ত হন এবং বাংলাদেশ থেকে আগত ভারতের সোনামোড়া স্থানে একটি শরনার্থী
ক্যাম্পের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত হন এবং নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালের
পর থেকে নরসিংদীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং সেই সাথে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেশায়
নিয়োজিত হন। এরপর তিনি এককভাবে ১৯৯৭ সালের ১লা জুলাই নরসিংদীর সদর রোড আওয়ামী লীগ
অপিস সংলগ্ন জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী ক্লিনিক নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা
করেন। ২৪ শে মে ২০০৭ সালে (৯ই জৈষ্ঠ্য ১৪১৪ বাং) রোজ বৃহস্পতিবার তিনি পরলোক গমন
করেন। পরলোক গমনের আগে তিনি ২ ছেলে এবং ১ মেয়ে রেখে যান। বর্তমানে ওনার বড় ছেলে
শিবু চন্দ্র সাহা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে
আসছেন।


 * উন্নত চিকিৎসা সেবা
 * বক্ষব্যাধি, মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও বাত-ব্যাথা বিশেষজ্ঞ
 * হৃদরোগ, মেডিসিন ও বাতজ্বর বিশেষজ্ঞ
 * শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
 * মেডিসিন,লিভার ও পরিপাকতন্ত্র রোগ বিশেষজ্ঞ
 * গাইনী, গর্ভবতী মা, বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
 * গাইনী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ
 * স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি বিদ্যা ও টিভিএস (TVS) আল্ট্রাসনোগ্রাফি
   বিশেষজ্ঞ
 * ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্সরে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই বিশেষজ্ঞ
 * চর্ম, যৌন, সেক্স, এলার্জি, কুষ্ঠ রোগ কসমেটিক ডার্মাটো সার্জারি বিশেষজ্ঞ
 * এলার্জি, চর্ম, যৌন (সেক্স) রোগ বিশেষজ্ঞ
 * ইউরোলজি (কিডনী) বিশেষজ্ঞ
 * গ্যাস্ট্রোলিভার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 * নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন
 * নিউরো-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 * হরমোন, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 * গাইনী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
 * গাইনী, শিশু, মেডিসিন, ডায়াবেটিস, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
 * ব্রেইন, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ
 * অর্থোপেডিক ও ট্রমা, হাড় জোড়া ও পঙ্গু রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
 * মেডিসিন, ডায়াবেটিস, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, বাত-ব্যাথা বিশেষ অভিজ্ঞ


উন্নত চিকিৎসা সেবা

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বেশ কিছু খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য
অর্জন করেছে দেশটি। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও দেশটি বিশ্বের প্রশংসা
কুড়িয়েছে। দেশেই এখন অভিনব পদ্ধতির উন্নত সেবা পাওয়া যাচ্ছে, যা রোগীদের
বিদেশমুখীতা বহুলাংশে কমিয়েছে। বাংলাদেশের রোগীদের এসব ঝামেলার কথা বিবেচনা করে
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত মানের সেবা দিচ্ছে জেডি প্যাথলজি সেন্টার। বিশ্বের
সেরা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদের উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে
জেডি প্যাথলজি সেন্টার। জেডি প্যাথলজি সেন্টার এখন অভিনব পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে
রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা এবং চিকিৎসা প্রদান করছে।

বিস্তারিত দেখুন


বক্ষব্যাধি, মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও বাত-ব্যাথা বিশেষজ্ঞ





 

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো হাড়, অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে
জটিলতা তৈরি করতে পারে। এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

ফ্রোজেন শোল্ডার

সাধারণত চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
তা ছাড়া হৃদ্‌রোগ, হাইপোথাইরোডিজম, স্ট্রোক, ভারী কাজ করা, কাঁধের আঘাত—এসব কারণে
ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। কাঁধের জয়েন্টের ক্যাপসুলে প্রদাহের কারণে তা স্ফীত বা
শুকিয়ে যায়। ফলে নড়াচড়া কমে যায় এবং আশপাশের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। চুল আঁচড়াতে,
জামাকাপড় পরতে, দৈনন্দিন কাজে হাত নাড়াচাড়ায় এক বা উভয় কাঁধে ব্যথা হয়।

সারকোট জয়েন্ট

ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথিক কারণে পায়ের গোড়ালি ও পাতার হাড়, জয়েন্ট ও নরম
টিস্যুগুলোর ক্রমান্বয়ে ক্ষতি হয়। ব্যথা, পা ফোলা, লালচে ভাব, গরম হয়ে যাওয়া,
পায়ের আকৃতির পরিবর্তন প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

অস্টিও আর্থ্রাইটিস

বয়সের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের হাঁটুর লিগামেন্ট, মিনিস্কাস ও হাড়ের প্রদাহজনিত
পরিবর্তনের ফলে হাঁটুতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত ওজন,আঘাত ও হরমোনজনিত সমস্যা
এর ঝুঁকি আরও বাড়ায়।

ডায়াবেটিক চিরোআর্থ্রোপ্যাথি

প্রায় ৩০ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি পরিলক্ষিত হয়।
সূক্ষ্ম রক্তনালি সংকোচনের কারণে ত্বকে বারবার প্রদাহ সৃষ্টি হয়, ফলে ত্বক পুরু
হয়ে যায়। অস্থিসন্ধির আশপাশের এই পুরু চামড়া ব্যথাবিহীন জয়েন্ট স্টিফনেস তৈরি
করে। সাধারণত হাত ও পায়ের আঙুলে এটি বেশি দেখা দেয়। আঙুল সোজা করা বা নড়াচড়ায়
সমস্যা হয়।

কারপাল টানেল সিনড্রোম

সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অর্ধেক অংশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া,
অসাড় ভাব বা ঝিনঝিন করা এই রোগের লক্ষণ। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি হাইপোথাইরোডিজম,
গর্ভাবস্থা, রোগীর পারিবারিক ইতিহাস এর ঝুঁকি বাড়ায়।

গেঁটে বাত

রক্তে উচ্চমাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের কারণে সৃষ্ট তীব্র ব্যথাযুক্ত অস্থিসন্ধির
প্রদাহজনিত রোগ। গবেষণায় দেখা গেছে যে গাউট ও ডায়াবেটিসের মধ্যে একটি যোগসূত্র
রয়েছে। গাউট রোগীদের প্রায় ২৬ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।


কীভাবে রক্ষা পাব?

 * অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

 * শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

 * প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটুন বা শরীরচর্চা করুন। এর ফলে হাড়, অস্থিসন্ধি, মাংসপেশি
   মজবুত ও সুদৃঢ় হয়।

 * ব্যথা বেশি হলে সাময়িক বিশ্রামে থাকুন।

 * অযথা ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডায়াবেটিস রোগীদের এমনিতেই কিডনি জটিলতার
   সম্ভাবনা বেশি থাকে। ব্যথার ওষুধ সেবনে এটি ত্বরান্বিত হতে পারে।

 * ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে।

 * নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করুন।

 * সমস্যার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে ঝুঁকিপূর্ণ নড়াচড়া ও অভ্যাস পরিবর্তন
   করুন।

 * গেঁটে বাত প্রতিরোধ করতে হলে বেশি পিউরিন আছে এমন খাদ্য বর্জনীয়।

 


বাত রোগ কি, কেন হয় এবং প্রতিকার

বাত শরীরের একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকমের বাতের
ব্যথা হয়ে থাকে। অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমা হয়ে এ রোগের উত্পত্তি হয়। মূত্রের
মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়, তার থেকে বেশি পরিমাণ ইউরিক
এসিড যখন আমাদের যকৃত তৈরি করে তখনই তা রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। অথবা খাবারের মাধ্যমে
বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিডের উত্স যেমন লাল মাংস, ক্রিম, রেড ওয়াইন ইত্যাদি গ্রহণ করলে
এবং বৃক্ক (কিডনি) রক্ত থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তা ফিল্টার করতে না পারলে বাতের
উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

রোগের প্রাদুর্ভাব
বাত সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের
ক্ষেত্রে সাধারণত এটি রজঃনিবৃত্তির পর অর্থাৎ ৪৫ বছরের পর দেখা দেয়। শিশু এবং
তরুণদের সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় না।

কারণ এবং ঝুঁকিগুলো
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমার কারণেই বাত হয়ে থাকে। শতকরা ২০ ভাগেরও বেশি রোগীর
ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাতরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে। যেসব কারণে বাতরোগের ঝুঁকি
বাড়ে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ডায়াবেটিস, শরীর মোটা হয়ে যাওয়া, কিডনির রোগগুলো,
সিকল সেল এনিমিয়া (এক ধরনের রক্তস্বল্পতা)। নিয়মিত অ্যালকোহল পান করলে তা দেহ থেকে
ইউরিক এসিড বের করে দেয়ায় বাধা দেয় এবং প্রকারান্তরে বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

কিছু কিছু ওষুধ যেমন—অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন ডাই-ইউরেটিকস, লিভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন
ইত্যাদি অনেক সময় বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

রোগের লক্ষণগুলো
বাতের সমস্যা সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলিতে প্রথম দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে—
— প্রদাহ
— ব্যথা
— অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া
— অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
— বাতে পায়ের আঙুল নাড়াতে তীব্র ব্যথা হয়; অনেক সময় রোগীরা বলে থাকে যে, চাদরের
স্পর্শেও ব্যথা লাগে। বাতের লক্ষণগুলো খুব দ্রুতই দেখা দেয়, যেমন কখনও কখনও এক
দিনের মধ্যেই দেখা দেয় এবং একই সঙ্গে একটি মাত্র অস্থিসন্ধিতে লক্ষণ দেখা দেয়। বিরল
ক্ষেত্রে ২-৩টি অস্থিসন্ধিতে এক সঙ্গে ব্যথা হয়। যদি অনেক স্থানে এক সঙ্গে লক্ষণ
দেখা দেয়, তবে হয়তো তা বাতের কারণে নাও হতে পারে। তবে চিকিৎসা না করা হলে বাত
অস্থিসন্ধির যথেষ্ট ক্ষতি করতে এমনকি চলন ক্ষমতাও হ্রাস করতে পারে।

চিকিৎসা
চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে আনা এবং এর
মাধ্যমে রোগের লক্ষণ এবং পরবর্তী অবনতি ঠেকানো। চিকিত্সা না করা হলে বাত
অস্থিসন্ধির যথেষ্ট ক্ষতি করতে এমনকি চলন ক্ষমতাও হ্রাস করতে পারে। সচরাচর দেখা
যায়, ঘন ঘন রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ না পেলে লোকজন এর চিকিত্সা করাতে চায় না। ওষুধের
মধ্যে আছে ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইন্ডোমিথাসিনের মতো এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা এবং সেই সঙ্গে
যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

প্রেডনিসোলোনের মতো স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও মুখে খাওয়া যেতে পারে অথবা আক্রান্ত
স্থানে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোপিউরিনল, কোলচিসিন এবং
প্রোবেনেসিড আলাদাভাবে কিংবা এক সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলো দ্রুত
কার্যকর হয় তখনই, যখন এগুলো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবহার করা
যায়।

প্রতিরোধ
প্রতিরোধই বাতের সমস্যা থেকে উপশমের উত্তম উপায়। রোগ দেখা দিলে ওষুধের মাধ্যমে
প্রতিকার পাওয়া যায় বটে, তবে তখন অ্যালকোহল এবং যেসব খাবার গ্রহণ করলে ইউরিক এসিড
মজুদ হওয়া বেড়ে যায়, সেসব থেকে দূরে থাকা অবশ্য কর্তব্য।

এছাড়া রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সুষম খাবার ব্যবহার
করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, রোগ হলে অবশ্যই
একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে তার পরামর্শ মতো চলতে হবে।




বিস্তারিত দেখুন


হৃদরোগ, মেডিসিন ও বাতজ্বর বিশেষজ্ঞ



কোন রোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হয়েও শুধুমাত্র রোগীর রোগ সারানোর জন্য শুধুমাত্র
ঔষুধের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এই বিশেষজ্ঞরা সরকারী ও বেসরকারী
হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখে এবং চিকিৎসা প্রদান করে
থাকে। যেকোন রোগের সকল প্রকার টেস্ট বিশেষায়িত ক্লিনিক, সরকারী হাসপাতাল, বেসরকারী
হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারে করার ব্যবস্থা রয়েছে।

রোগের চিকিৎসার জন্য কোন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন সিদ্ধান্ত নিতে
পারছেন না ? এতসব বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেকে
দেখাতে পারেন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সববিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন এবং অলমোস্ট সব
রোগেরই ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।




বিস্তারিত দেখুন


শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ




শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ কি ?

সরকারী ভাবে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই শিশু। তাই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন ১৮ বছর
বয়সী পর্যন্ত রোগী দেখে থাকেন। সরকারী হাসপাতাল গুলোতে শিশু ওয়ার্ডে ১২ বছর পর্যন্ত
ভর্তি করা হয়। তবে কিশোরদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রধানত শিশুদের ডাক্তাদের ই পড়ানো
হয়। তাই সাধারনভাবে সবাই কমপক্ষে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত রোগী দেখে থাকেন।


নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কেন দেখাবেন ?

নবজাতক ও শিশুদের একট্রা কেয়ার না করলে রোগ বালাই খুব সহজেই আক্রান্ত করে ফেলে।
এজন্য শিশু কিশোর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।




বিস্তারিত দেখুন


মেডিসিন,লিভার ও পরিপাকতন্ত্র রোগ বিশেষজ্ঞ




বিস্তারিত দেখুন


গাইনী, গর্ভবতী মা, বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন




প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কি ?

মেয়েদের সকলপ্রকার মেয়েলি রোগ যেমন গর্ভবতী হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন চিকিৎসা,
ঋতুস্রাব, তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, নরমাল ডেলভারী, সিজার,
মেনোপোজ এর চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকে গাইণী বিশেষজ্ঞরা। সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক
এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গাইণী বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা প্রদান করে
থাকেন। এই রোগের সকল টেস্ট সকল হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে করার ব্যবস্থা
রয়েছে।


প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কখন/কেন দেখাবেন ?

গর্ভাবস্থায় বা গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা 




বিস্তারিত দেখুন


গাইনী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ




প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কি ?

মেয়েদের সকলপ্রকার মেয়েলি রোগ যেমন গর্ভবতী হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন চিকিৎসা,
ঋতুস্রাব, তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, নরমাল ডেলভারী, সিজার,
মেনোপোজ এর চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকে গাইণী বিশেষজ্ঞরা। সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক
এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গাইণী বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা প্রদান করে
থাকেন। এই রোগের সকল টেস্ট সকল হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে করার ব্যবস্থা
রয়েছে।


প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কখন/কেন দেখাবেন ?

গর্ভাবস্থায় বা গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা 




বিস্তারিত দেখুন


স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি বিদ্যা ও টিভিএস (TVS) আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ




প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কি ?

মেয়েদের সকলপ্রকার মেয়েলি রোগ যেমন গর্ভবতী হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন চিকিৎসা,
ঋতুস্রাব, তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, নরমাল ডেলভারী, সিজার,
মেনোপোজ এর চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকে গাইণী বিশেষজ্ঞরা। সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক
এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গাইণী বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা প্রদান করে
থাকেন। এই রোগের সকল টেস্ট সকল হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে করার ব্যবস্থা
রয়েছে।


প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কখন/কেন দেখাবেন ?

গর্ভাবস্থায় বা গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা 




বিস্তারিত দেখুন


ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্সরে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই বিশেষজ্ঞ





সিটি স্ক্যান কি?

কম্পিউটেড টমোগ্রাফি স্ক্যান সংক্ষেপে সিটি স্ক্যান নামে পরিচিত। এটি এক প্রকার
এক্স-রে। তবে তফাৎ হচ্ছে এক্স-রে এর মত একটি ছবি নেয়া হয় না। এক্স-রে টিউবের
আবর্তনের মাধ্যমে অসংখ্য ছবি নেয়া হয়। অনেকটা শরীর টুকরো করে প্রস্থচ্ছেদের ছবি
নেয়ার মত। পরে ছবিগুলো কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে একত্র করা হয়।

 

যে সকল পরীক্ষা করা হয়-

 * ডপলার সহ সকল প্রকার আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
 * গর্ভবতী ও ফিটাল এনোম্যালি স্ক্যান (গর্ভাবস্থায় বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি নির্নয়)।
 * থাইরয়েড গ্লান্ড, গলা, বুক, পেট ও শরীরের সকল প্রকার আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
 * হাত ও পায়ের ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি (টিউমার ও রক্তনালীর ডপলার পরীক্ষা)।
 * পুরুষের অন্ডকোষ ও মুত্রথলির আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
 * ব্রেস্ট টিউমারের আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
 * শিশুদের ব্র্রেনের আল্ট্রাসনোগ্রাফি।



কেন করা হয়?

সিটি স্ক্যান করার মাধ্যমে শরীরের ভেতরের নিখুঁত ছবি পাওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন রোগ
নির্ণয়ে পরীক্ষাটি সহায়ক হয়। যেসব ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করা হতে পারে:
    ১.ক্যান্সার বা টিউমার নির্ণয়,
    ২.মস্তিষ্কের রোগ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা নির্ণয়,
    ৩.হৃদযন্ত্রের কোন রোগ বা রক্ত প্রবাহে কোন বাধা রয়েছে কিনা জানতে,
    ৪.ফুসফুসের রোগ নির্ণয়,
    ৫.হাড় ভাঙ্গা বা অন্য কোন সমস্যা নির্ণয়,
    ৬.কিডনী বা মূত্রসংবহন তন্ত্রের কোন রোগ বা পাথর সনাক্ত করণ,
    ৭.পিত্তথলি, লিভার বা অগ্নাশয়ের রোগ নির্ণয়,
    ৮.বায়োপসি করার ক্ষেত্রে গাইড হিসেবে সিটি স্ক্যানের সাহায্য নেয়া হতে পারে,
    ৯.ক্যান্সার রোগীর ক্যান্সারের বিস্তৃতি সম্পর্কে জানতে সিটি স্ক্যান করা হয়,
    ১০.এছাড়া যেসব রোগীকে পেস মেকার, ভাল্ভ বা এ জাতীয় যন্ত্র দেয়া হয়েছে তাদের
এমআরআই করা যায় না, এ কারণে সিটি স্ক্যান করতে হয়।

 

 




বিস্তারিত দেখুন


চর্ম, যৌন, সেক্স, এলার্জি, কুষ্ঠ রোগ কসমেটিক ডার্মাটো সার্জারি বিশেষজ্ঞ





সাধারণত চর্ম রোগ খুব বিপত্তিকর একটি সমস্যা । আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগ
হয়ে থাকে । আর এটি বেশিরভাগ দেখা যায় গ্রামে।কারণ গ্রামে বেশিরভাগ লোক কৃষির ওপর
নির্ভরশীল যার জন্য পানির ব্যবহার বেশী হয়ে থাকে শুধু তাই নয় অনেক মা-বোনেরাও
বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আবার রোদের কারণে বিভিন্ন রকম রোগ
হয়ে থাকে। আর এ রোগগুলো হলঃ একজিমা,ফাংগাল ,স্ক্যাবি্‌হাইভস,খুশকি,সোরিয়াসিস,দাদ
ইত্যাদি তবে এর মধ্যে বেশি যে রোগটি দেখা যায় সেটি হল -দাদ ও ফাংগাল ।

 

চর্ম রোগ (ত্বকের রোগ) কি?

চর্মরোগ ত্বককে প্রভাবিত করে বা ত্বকে না না রকম সমস্যার সৃষ্টি করে ও ছড়িয়ে পরে।
সহজ কথায় চর্মরোগ ত্বকের বিভিন্ন রোগগুলিকে বুঝায়। 

চর্ম রোগের কারন কি? 

চর্মরোগের কারন ও ধরন ভিন্ন ভিন্ন হয়। ত্বকে সংক্রমণের কারনে যে চর্মরোগগুলি হয়
তাদের ধরন সংক্রামক এজেন্টের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ত্বকে সংক্রমণ ঘটায় এধরণের
এজেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস,প্রোটোজোয়া, ছত্রাক
(ফাঙ্গাস) ইত্যাদি। 

ডায়াবেটিস, লুপাস,স্ট্রেস ইত্যাদি রোগ ও গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন চর্মরোগ হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে।

তাছাড়াও অ্যালার্জি, অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারনেও চর্মরোগ দেখা দেয়। 

 

চর্ম রোগের লক্ষণ কি?

সব ধরনের চর্ম রোগের লক্ষণ এক হয় না। অর্থাৎ চর্ম রোগের ধরন ও কারণ অনুযায়ী লক্ষণ
প্রকাশ পায়। সব চর্মরোগে চুলকানি থাকে না। 

আবার কিছু ত্বকের সমস্যা রয়েছে যেগুলো চর্ম রোগ নয়। যেমনঃ টাইট বেল্ট পরার কারণে
কোমরের ত্বকে সমস্যা, জুতা পরার কারণে পায়ে ফোষ্কা,মোটা কাপড় পরার কারণে শরীরে
ফুসকুড়ি হওয়া ইত্যাদি। 

সাধারণত বিভিন্ন চর্মরোগর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে -

 

 * ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়া 
 * ত্বকে ব্যথা বা চুলকানি 
 * খসখসে বা রুক্ষ ত্বক
 * ত্বক থেকে চামড়া ওঠা
 * ত্বকে বিবর্ণ দাগ
 * অতিরিক্ত ফ্লাশিং
 * ত্বকে ক্ষত বা ঘা (একে ত্বকের আলসার বলে) 
 * ক্ষত থেকে পানি পরা 




বিস্তারিত দেখুন


এলার্জি, চর্ম, যৌন (সেক্স) রোগ বিশেষজ্ঞ





সাধারণত চর্ম রোগ খুব বিপত্তিকর একটি সমস্যা । আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগ
হয়ে থাকে । আর এটি বেশিরভাগ দেখা যায় গ্রামে।কারণ গ্রামে বেশিরভাগ লোক কৃষির ওপর
নির্ভরশীল যার জন্য পানির ব্যবহার বেশী হয়ে থাকে শুধু তাই নয় অনেক মা-বোনেরাও
বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আবার রোদের কারণে বিভিন্ন রকম রোগ
হয়ে থাকে। আর এ রোগগুলো হলঃ একজিমা,ফাংগাল ,স্ক্যাবি্‌হাইভস,খুশকি,সোরিয়াসিস,দাদ
ইত্যাদি তবে এর মধ্যে বেশি যে রোগটি দেখা যায় সেটি হল -দাদ ও ফাংগাল ।

 

চর্ম রোগ (ত্বকের রোগ) কি?

চর্মরোগ ত্বককে প্রভাবিত করে বা ত্বকে না না রকম সমস্যার সৃষ্টি করে ও ছড়িয়ে পরে।
সহজ কথায় চর্মরোগ ত্বকের বিভিন্ন রোগগুলিকে বুঝায়। 

চর্ম রোগের কারন কি? 

চর্মরোগের কারন ও ধরন ভিন্ন ভিন্ন হয়। ত্বকে সংক্রমণের কারনে যে চর্মরোগগুলি হয়
তাদের ধরন সংক্রামক এজেন্টের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ত্বকে সংক্রমণ ঘটায় এধরণের
এজেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস,প্রোটোজোয়া, ছত্রাক
(ফাঙ্গাস) ইত্যাদি। 

ডায়াবেটিস, লুপাস,স্ট্রেস ইত্যাদি রোগ ও গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন চর্মরোগ হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে।

তাছাড়াও অ্যালার্জি, অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারনেও চর্মরোগ দেখা দেয়। 

 

চর্ম রোগের লক্ষণ কি?

সব ধরনের চর্ম রোগের লক্ষণ এক হয় না। অর্থাৎ চর্ম রোগের ধরন ও কারণ অনুযায়ী লক্ষণ
প্রকাশ পায়। সব চর্মরোগে চুলকানি থাকে না। 

আবার কিছু ত্বকের সমস্যা রয়েছে যেগুলো চর্ম রোগ নয়। যেমনঃ টাইট বেল্ট পরার কারণে
কোমরের ত্বকে সমস্যা, জুতা পরার কারণে পায়ে ফোষ্কা,মোটা কাপড় পরার কারণে শরীরে
ফুসকুড়ি হওয়া ইত্যাদি। 

সাধারণত বিভিন্ন চর্মরোগর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে -

 

 * ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়া 
 * ত্বকে ব্যথা বা চুলকানি 
 * খসখসে বা রুক্ষ ত্বক
 * ত্বক থেকে চামড়া ওঠা
 * ত্বকে বিবর্ণ দাগ
 * অতিরিক্ত ফ্লাশিং
 * ত্বকে ক্ষত বা ঘা (একে ত্বকের আলসার বলে) 
 * ক্ষত থেকে পানি পরা 




বিস্তারিত দেখুন


ইউরোলজি (কিডনী) বিশেষজ্ঞ




ইউরোলজি কি?

ইউরোলোজি /মূত্রবিজ্ঞান চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বিভাগ যেখানে মহিলা এবং পুরুষদের
মূত্র প্রণালীর সাথে জড়িত সমস্যা এবং পুরুষদের প্রজনন সম্বন্ধীয় ক্ষেত্রের চিকিৎসা
করা হয়| মূত্রবিজ্ঞানের অন্তর্গত পিডিয়াট্রিক ইউরোলজি, ইউরোলোজিক ক্যান্সার,
রিয়েল ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ক্যালকুলি এবং ফিয়েল ইউরোলোজিও অন্তর্ভুক্ত


কখন ইউরোলোজিস্টের সাথে দেখা করবেন?

ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে ইউরোলজিস্ট বলা হয়। ইউরোলজিস্টরা শিশু এবং
প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েরই চিকিৎসা করেন। রেনাল স্টোন, যৌনাঙ্গে আঘাত, প্রস্রাবের
অসুবিধা, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, ইত্যাদি সমস্যার জন্য আপনার ইউরোলজিস্টের সাথে কথা
বলা উচিত।


আমাদের ইউরোলজিস্ট এসব রোগের চিকিৎসা করে থাকেন?

আমাদের সাথে যুক্ত ইউরোলজিস্টরা এই সমস্যার লক্ষণগুলি চিকিৎসা করেন:
অ্যাপেনডিসাইটিস, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং প্রস্রাব না আটকাতে না পারা। অন্যান্য
সমস্যা যেমন - প্রস্রাবের সাথে রক্ত, ঘন ঘন প্রস্রাব করা। আপনার যদি এরকম কোন
সমস্যা হয় তবে একজন ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।


প্রস্রাবের সাথে রক্ত - 

প্রস্রাবের সাথে রক্ত আসার নাম হিমাতুরিয়া। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অন্য কোনও লক্ষণ নেই, কেবল রক্ত প্রস্রাবের সাথে দেখা দিতে পারে। যদি প্রস্রাবে
রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে তবে ব্যথা অনুভব হতে পারে। ক্যান্সার, জিনগত ব্যাধি,
মূত্রাশয়ে পাথর, প্রস্রাব বা কিডনিতে সংক্রমণ হতে পারে।




পল্যুরিয়া - 

ঘন ঘন প্রস্রাবকে পলিউরিয়া বলে। যখন 1 দিনে 2.5 লিটারের বেশি প্রস্রাব হয়, তখন
তাকে অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ বলা হয়। সাধারণ পরিমাণ দিনে 2 লিটার প্রস্রাব তবে এটি
বয়স এবং লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। রাতে যদি বেশি পরিমাণে প্রস্রাব হয় তবে তাকে
নিশাচর পলিউরিয়া বা নিশাচর বলা হয়। এর কারণগুলি হ'ল: মূত্রাশয় সংক্রমণ,
ডায়াবেটিস এবং নেফ্রাইটিস।




কিডনী স্টোন - 

কিডনিতে মিনারেলস জমা হওয়ার কারণে পাথর হয়। বেশিরভাগ পাথরের আকারে খুব ছোট এবং যা
প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে আসে । তবে কিছুগুলির আকার বেশ বড় হয় এবং সেটা ইউরেটারে
আটকে যায়, যার কারণে তীব্র ব্যথা হতে পারে। লক্ষণগুলি হল: পেটে ব্যথা, প্রস্রাবে
রক্ত, বমি বমি ভাব, ডিসুরিয়া।




বিস্তারিত দেখুন


গ্যাস্ট্রোলিভার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ



গ্যাস্ট্রোলিভার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ




বিস্তারিত দেখুন


নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন





শীতের সময় রোগ বাড়ে না তবে কিছু রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে সর্দি-কাশি,
শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি নাক, কান ও গলার রোগগুলো অন্যতম। বলা যায়, এসব রোগে ছেলে-বুড়ো
সবাই আক্রান্ত হয়।

শীতকালে বেশি সমস্যা হতে এমন কিছু রোগ থেকে ভালো থাকতে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো :

টনসিলাইটিস বা গলা ব্যথা
শীতকালে গলা ব্যথা হয়ে টনসিলে তীব্র প্রদাহ হতে পারে।

তীব্র প্রদাহের জন্য গলা ব্যথা, জ্বর ও ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়। ব্যাকটেরিয়াজনিত
টনসিলের প্রদাহে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হয়। আর
ভাইরাসজনিত গলা ব্যথা হলে হলে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করলে এবং প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ
খেলে ভালো হয়ে যায়। অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে কণ্ঠনালিতে ইনফেকশন হতে পারে বা গলার স্বর
পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন ও মেন্থলের ভাপ নিলে
উপকার মেলে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগলে শিশুদের শ্বাসনালিতে ইনফেকশন হতে পারে, এমনকি
নিউমোনিয়াও হতে পারে। তাই শিশু, বয়স্ক ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন মানুষদের
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

 

এডিনয়েড
এডিনয়েড রোগে শিশুরা বেশি ভোগে থাকে। শিশুদের নাকের পেছনে থাকা এক ধরনের টনসিলকেই
এডিনয়েড বলে। এই এডিনয়েড বড় হয়ে গেলে নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা
দেয়। শিশুরা তখন নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। সব সময় মুখ খোলা রাখে, ঘুমের সময়
হা করে থাকে বা মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়, নাক ডাকে। কিছু শিশুর লালা ঝড়ে, কানে কম শোনে,
তাদের বুদ্ধিমত্তা অনেকাংশে কমে যায়। শুধু শারীরিক সমস্যাই নয়, মানসিক বিকাশও
ব্যাহত হতে পারে এই এডিনয়েড সমস্যার কারণে।

কোনো শিশুর এ ধরনের সমস্যা মনে হলে দ্রুত কোনো নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নেওয়া উচিত। ওষুধ দিয়ে উপকার না পেলে অনেক সময় অপারেশন করে এডিনয়েড ফেলে দিতে হয়।
কানের সমস্যা থাকলে সেটাও একই সময় অপারেশন করা সম্ভব। অনেক মা-বাবা অপারেশনের কথা
শুনেই ভয় পান। কিন্তু বাংলাদেশে এখন এডিনয়েডের শতভাগ সফল অপারেশন হচ্ছে এবং শিশুরাও
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

শিশুদের মধ্যকর্ণে প্রদাহ
শীতকালে শিশুদের মধ্যকর্ণে প্রদাহ বেশি দেখা দেয়। সাধারণত ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির
প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে
এই প্রদাহ দেখা দেয়। শীতকালে এই উপসর্গগুলো বেশি দেখা দেওয়ার ফলে হঠাৎ করেই
মধ্যকর্ণে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এই রোগের কারণে কানে অনেক ব্যথা হয়, কান বন্ধ হয়ে
যায়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে, ফলে
কানপাকা রোগ হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করা হয়।

অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
কোনো রকমের অ্যালার্জেন, যেমন : ধুলাবালি, গাড়ির ধোঁয়া নাকে ঢুকে যায়, তাহলে নাকে
অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ হতে পারে। এতে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ ইত্যাদি
উপসর্গ হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে এবং যে কারণে নাকে সর্দি ও অ্যালার্জি হয়
তা থেকে দূরে থাকলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সাধারণত দীর্ঘদিন নাকে অ্যালার্জি থাকলে পলিপ হতে পারে। পলিপ দেখতে অনেকটা আঙুর
ফলের মতো। নাকের পলিপে নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং সঙ্গে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে মাথা ব্যথা
হতে পারে। এই সমস্যার চিকিৎসা হলো অপারেশন। প্রচলিত নিয়মে অপারেশনে আবার পলিপ হওয়ার
আশঙ্কা থাকে। কিন্তু আধুনিক এন্ডোস্কপিক সাইনাস সার্জারির মাধ্যমে সফলভাবে অপারেশন
করা যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে বড় বড় হাসপাতালে এন্ডোস্কপিক সাইনাস সার্জারি নিয়মিত
হচ্ছে।

সাইনোসাইটিস
শীতকালে নাকের দুই পাশের সাইনাসে ইনফেকশন দেখা দেয়, যাকে সাইনোসাইটিস বলা হয়। এতে
নাকের দুই পাশে ব্যথা ও মাথা ব্যথা হতে পারে। সাইনাসের এক্স-রে করলে রোগ নির্ণয় করা
যায়। তীব্র অবস্থায় ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। দীর্ঘমেয়াদি সাইনাস প্রদাহে
ওয়াশ এবং শেষ পর্যায়ে অ্যান্ডোস্কপিক সাইনাস সার্জারি করা লাগতে পারে যাকে বলে
‘সাইনাস সার্জারি’।

ফ্যারেনজাইটিস
শীতে গলা ব্যথা, জ্বর বা খুসখুসে কাশি হয় অনেকের। এসব ফ্যারেনজাইটিসের লক্ষণ। অনেক
সময় দেখা যায়, শীতের সময় অনেকেই ঘুম থেকে ওঠে আর কথা বলতে পারেন না। গলা ব্যথাও
থাকে। ভাইরাসজনিত কারণে এই সমস্যা হয়।

ফ্যারেনজাইটিস থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো ঠাণ্ডা পরিহার করা। এ ছাড়া
আক্রান্ত হলে হিট স্টিম বা মেন্থল দিয়ে গরম ভাপ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নাকের
ড্রপস, অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করলে উপকার মেলে। কথা বলা খানিকটা সময়ের জন্য
পরিহার করলেও এই রোগের প্রকোপ কমে যায়।

কিছু করণীয়
►     শীতকালে যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সে জন্য গরম কাপড় পরতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও
প্রবীণদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে।

►     ঠাণ্ডা লাগলে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিন। এতে প্রথমেই রোগ ভালো হয়ে যায়
এবং নানা জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

►     শীতকালে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের উচিত নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ ও ইনহেলার
ব্যবহার করা। কেননা সর্দি, অ্যালার্জি ও হাঁপানির মধ্যে যোগসূত্র আছে।

►     অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত গোসল করা ভালো। তবে ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধে
সহনীয় গরম পানিতে গোসল করা উচিত।

►     শীতের সময় বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বেশি থাকে বলে বাইরে কম বেরোনো ভালো। বাইরে
বেরোলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

►     এই সময় রোদের তাপ কম থাকে বলে সূর্যতাপ তেমন মেলে না। তবুও চেষ্টা করা উচিত
নিয়মিত রোদ পোহানো। এতে শরীর ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে
কাজ করে।




বিস্তারিত দেখুন


নিউরো-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ




নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কি ?

মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হচ্ছেন নিউরো
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিষ্ট।

--------------------------------------------------------------------------------


নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কখন/কেন দেখাবেন ?

সব বয়সীদেরই নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে হৃদরোগ,
রক্তে উচ্চমাত্রায় চর্বিজনিত কারণে স্ট্রোক, ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে নিউরোলজিষ্টের
কাছে প্রধানত বয়স্ক রোগীরা যান। পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রেও
নিউরোলজিষ্টের কাছে যেতে হয়।




বিস্তারিত দেখুন


হরমোন, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ





থায়রয়েড গ্রন্থি একটি অতি প্রয়োজনীয় অন্ত:ক্ষরা (এন্ডোক্রাইন/Endocrine) গ্লান্ড
(Gland); যা গলার সামনের অংশে অবস্থিত। এটি মানব শরীরের প্রধান বিপাকীয় হরমোন
তৈরিকারী গ্লান্ড। থায়রয়েড থেকে নি:সৃত প্রধান কার্যকরী হরমোনগুলো তৈরি করতে সাহয্য
করে টিএসএইস (TSH) নামক আরেকটি হরমোন; যা মস্তিস্কের ভেতর পিটুইটারি (Pituitary)
নামের গ্লান্ড থেকে নি:সৃত হয়।

থায়রয়েড হরমোনের অন্যতম কাজ হচ্ছে শরীরের বিপাকীয় হার বা বেসাল মেটাবলিক রেট (Basal
metabolic) বাড়ানো। থায়রয়েড হরমোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্নায়ুর
পরিপক্বতা। এজন্য গর্ভাবস্থায় থায়রয়েড হরমোনের স্বল্পতায় গর্ভের বাচ্চা বোকা হয়
অথবা বুদ্ধিদীপ্ত হয় না। যেসব উদ্দীপনায় বিপাক ক্রিয়া বেড়ে যায় যেমন- যৌবনপ্রাপ্তি,
গর্ভাবস্থা, শরীরবৃত্তীয় কোনো চাপ ইত্যাদি কারণে থায়রয়েড গ্লান্ডের আকারগত বা
কার্যকারিতায় পরিবর্তন হতে পারে।

থায়রয়েড গ্রন্থি থেকে মূলত দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়, গঠনগত ও কার্যগত। এরা
বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে।

গঠনগত সমস্যায় থায়রয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যেটাকে গয়টার (Goiter) বা গলগ বলা হয়; যার
আবার রয়েছে নানা প্রকারভেদ। এছাড়া থায়রয়েড গ্লান্ডের গোটা বা নডিউল (Thyroid
nodule) এবং থায়রয়েড গ্লান্ডের ক্যান্সার (Thyroid Cancer) হতে পারে।

কার্যগত সমস্যা দুই রকমের হয়ে থাকে তা হলো- থায়রয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতা
বা হাইপারথায়রয়েডডজম ও থায়রয়েড গ্লান্ডের কার্যকারিতা হ্রাস বা হাইপোথায়রয়েডডজম
(Hypothyroidism) এছাড়া থায়রয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ বা থাইরয়ডাইটিস (Thyroiditis) হতে
পারে।

থায়রয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতা বা হাইপারথায়রয়েডডজম (Hyperthyroidism) 

হাইপার থাইরয়ডিজম রোগে থায়রয়েড গ্লান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে। থায়রয়েড
গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতার ফলে
    প্রচণ্ড গরম লাগা, হাত পা ঘামা।

    পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, খাওয়ার রুচি স্বাভাবিক বা বেড়ে যাওয়ার পরও ওজন কমে
যাওয়া, ঘন ঘন পায়খানা হওয়া।

    হার্ট ও ফুসফুসীয় সমস্যা: বুক ধড়ফড়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হার্ট ফেইলিওর,
এনজাইনা বা বুক ব্যথা।

    স্নায়ু ও মাংসপেশির সমস্যা: অবসন্নতা বা নার্ভাসনেস, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া,
উত্তেজনা, আবেগ প্রবণতা, সাইকোসিস বা মানসিক বিষাদগ্রস্ততা; হাত-পা কাঁপা, মাংসপেশি
ও চক্ষুপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি হতে পারে।

    এছাড়া হাড়ের ক্ষয় বা ওস্টিওপোরোসিস, মাসিকের সমস্যা, বন্ধ্যত্ব পর্যন্ত হতে
পারে।

হাইপারথায়রয়েডডজমের কারণ
ক)    গ্রেভস ডিজিস (Graves' disease): এক ধরনের অটোইমিউন রোগ; যাতে থায়রয়েড
গ্লান্ড এর পাশাপাশি রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং চোখ কোঠর থেকে বেরিয়ে আসে।

খ)    মাল্টিনডিউলার গয়টার (Multinodular goiter) 
গ)    অটোনামাসলি ফাংশনিং সলিটারি থায়রয়েড বডিউল (Autonomously functioning
solitary thyroid nodule) 

ঘ)    থায়রয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ বা থায়রয়েডাইটিস (Thyroiditis)

ঙ)    থায়রয়েড গ্লান্ড ছাড়া অন্য কোন উৎসের কারণে থায়রয়েড হরমোনের আধিক্য।

চ)    টিএসএইচজনিত (TSH related)

ছ)    ফলিকুলার ক্যান্সার (Follicular cancer) ও অন্যান্য।

হাইপার-থায়রয়েডডজমের চিকিৎসা হচ্ছে অ্যান্টিথায়রয়েড ওষুধ। যেটি থায়রয়েড গ্রন্থির
কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেবে। ওষুধ ব্যতিরেকে কখনো কখনো সার্জারি করা প্রয়োজন হতে
পারে। যখন অ্যান্টি থায়রয়েড ওষুধ ব্যবহার করা হয়, এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেড় থেকে
দুই বছর ব্যবহার করা হয়। তারপর এ ওষুধ তাকে বন্ধ করে দিতে হবে। রোগী যদি স্বাভাবিক
থাকে, খুব ভালো কথা, তবে যদি আবারও রোগ ফিরে আসে তবে সাধারণত রেডিও আয়োডিন দিয়ে
গ্লান্ড নষ্ট করে দিতে হয়।

থায়রয়েড গ্লান্ডের কার্যকারিতা হ্রাস বা হাইপোথায়রয়ডিজম (Hypothyroidism)
হাইপোথায়রয়েডডজম মূলত নিম্নলিখিত কারণে দেখা যায়। যেসব অঞ্চলে আয়োডিনের অভাব রয়েছে,
সেখানে আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে হাইপোথায়রয়েডজম দেখা যায়। এছাড়া অটোইমিউন
হাইপোথাইরয়ডিজম এ থায়রয়েড গ্লান্ডের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সক্রিয় হলে গ্লান্ড নষ্ট
হয়ে যায় এবং থায়রয়েড গ্লান্ড কাজ করে না। চিকিৎসাজনিত কারণেও এই অসুখ হতে পারে।
অপারেশনের কারণে থায়রয়েড গ্লান্ড বাদ দিতে হলে বা অন্য কারণেও থায়রয়েড নষ্ট হয়ে
গেলে এ সমস্যা হতে পারে। হাইপারথায়রয়েডজমের ওষুধের ডোজ বেশি হলে তার থেকে
হাইপারথাইরয়েডিজম হতে পারে। নবজাতক শিশুদের মধ্যে থায়রয়েড গ্লান্ড তৈরি বা কার্যকর
না হলে কনজেনিটাল হাইপোথায়রয়েডডজম (Congenital Hypothyroidism) দেখা যায়।

হাইপোথায়রয়েডিজমের যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়-
- অবসাদগ্রস্ত হওয়া, সাথে অলসতা, ঘুম-ঘুম ভাব।
- ত্বক খসখসে হয়ে যায়।
- করীর অল্প ফুলে যায়।
- ক্ষুধা মন্দা শুরু হয়।
- চুল পড়তে শুরু করে।
- ওজন অল্প বেড়ে যায়, ৫-৬ কিলো বেড়ে যেতে পারে।
- স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
- শীত শীত ভাব দেখা যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য শুরু হয়।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
- ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে।
- মাসিকের সমস্যা হতে পারে।
- বন্ধ্যত্ব ও সমস্যা হতে পারে।
- গর্ভধারণকালে গর্ভপাত হতে পারে।
- কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজমে শিশুর ব্রেণের বিকাশ হয় না।

থায়রয়েড ক্যান্সার (Thyroid cancer)
থায়রয়েড গ্রন্থির কোনো অংশ টিউমারের মতো ফুলে উঠলে বলা হয় থায়রয়েড নেডিউল। এসব
থায়রয়েড নেডিউলের ১ শতাংশ থেকে থায়রয়েড ক্যান্সার হতে পারে। থায়রয়েড গ্রন্থির কোনো
অংশের কোষসংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে তাকে থায়রয়েড ক্যান্সার বলে।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে থায়রয়েড গ্রন্থি বা এর অংশবিশেষ ফুলে ওঠা মানেই কিন্তু
ক্যান্সার নয়।

থায়রয়েড ক্যান্সারে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে:
    গলার সম্মুখভাগে ফুলে ওঠা। ফোলা অংশটি বেশ শক্ত হয়।
    একটি বা একাধিক টিউমার হতে পারে। উভয় পাশে টিউমার হতে পারে, আশপাশের লিঙ্ক
নোডগুলো ফুলে উঠতে পারে।
    ওজন কমে যায়। খাওয়ার রুচি কমে যেতে পারে।
    গলার স্বর পরিবর্তন হতে পারে। গলার স্বর মোটা বা ফ্যাসফেসে হতে পারে।
    তবে থায়রয়েড নোডিউল বা ক্যান্সার ছাড়াও গলার সামনে ফুলে উঠতে পারে। 
    শ্বাসনালির ওপর চাপ সৃষ্টির ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

খেয়াল রাখতে হবে যে নিকট বংশে থায়রয়েড ক্যান্সার এর ইতিহাস থাকলে ক্যান্সার
স্ক্রিনিংয়ের জন্য অবশ্যই এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে
হবে।

থায়রয়েড ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা সময়মতো চিকিৎসা করলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই
সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব। তবে অবশ্যই সময়মতো চিকিৎসা করাতে হবে। গলার সামনে ফুলে উঠলে
যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি একজন এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত। তিনি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন এটা কোন ধরণের রোগ।

ক্যান্সার শনাক্ত হলে বা ক্যান্সার আছে এমন সন্দেহ হলে অতিদ্রুত নাক, কান ও গলা
বিশেষজ্ঞ বা থায়রয়েড অপারেশনে পারদর্শী কোনো সার্জনের কাছে যেতে হবে। থায়রয়েড
ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন বা সার্জারি করা।
আক্রান্তের ধরনের ওপর নির্ভর করবে থায়রয়েড গ্রন্থির কতটুকু কাটতে হবে। অনেক সময়
পুরো থায়রয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে।

কেমোথেরাপি প্রধানত সমন্বয় চিকিৎসা হিসেবে পিওরলি ডিফিরেনসিয়েটেড বা
আনডিফিরেনসিয়েটেড থায়রয়েড ক্যান্সারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও শেষ পর্যায়ে থায়রয়েড
ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের অবস্থা দ্রুত ছড়িয়ে যায় তারা পেলিয়াটিভ থেরাপি
নিতে পারেন।

জিজ্ঞাসা প্রশ্ন:
প্রশ্ন: থায়রয়েড গ্লান্ড এবং এর রোগ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: থায়রয়েড গ্লান্ড মানব শরীরের প্রধান বিপাকীয় হরমোন তৈরিকারী গ্লান্ড। সময়মতো
নির্ণয় করতে পারলে এ রোগ সফলভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব।

গর্ভকালীন অবস্থায়: মায়ের হাইপোথায়রয়েডিজমের কারণে বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি
ব্যাহত হয়। এছাড়া বাচ্চার মধ্যে থায়রয়েড গ্লান্ড তৈরি বা কার্যকর না হলে কনজেনিটাল
হাইপোথাইরয়ডিজম দেখা যায়। ক্রিটিনিজমের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাংসপেশী
ও হাড় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বর্ধন না হওয়া। এর ফলে শিশু বেঁটে হয়, বোকা বা
বৃদ্ধিহীন হয়ে থাকে। জিহ্বা বড় ও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং নাভির হার্ণিয়া (Hernia)
হয়।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হরমোনটি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে; থায়রয়েড
গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করলে শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। একজন শিশু যদি
ছোটবেলা থেকে এর অভাবে ভোগে তাহলে সে প্রতিবন্ধী হয়ে বড় হবে। যদি তাকে চিকিৎসা
দেওয়া না হয় সে বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে।

বড়দের ক্ষেত্রে প্রজননে অক্ষমতা, মহিলাদের মাসিক সমস্যা; বাচ্চা পেটে নষ্ট হওয়াসহ
নানা সমস্যা হতে পারে।

যদি চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় অনেকদিন হাইপারথায়রয়েডডজম থাকে, তাহলে থায়রয়েড স্টর্ম
(Thyroid storm) হতে পারে। থায়রয়েড স্টর্ম বলতে বুঝায় হঠাৎ করে অতিরিক্ত থায়রয়েড
হরমোন তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে প্রচণ্ড জ্বর, মাথা কাজ না করা, পেটে ব্যথা, উচ্চ
রক্তচাপ, হার্টবিট অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া এবং হার্ট ফেইলিওর (heart failure) হয়।
তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না করলে থায়রয়েড স্টর্ম জীবনঘাতী হতে পারে। সাধারণত ইনজেকশন ও
স্ট্রোস হাইপারথায়রয়েডডজমের রোগীর মধ্যে থায়রয়েড স্টর্ম তৈরি করে।

আবার হাইপোথাইরয়েডিজমে অনেকদিন চিকিৎসাবিহীন থাকলে মিক্সএডমা কোমা হতে পারে।
মিক্সএডেমা কোমা বলতে বুঝায় শরীরে থায়রয়েড হরমোনের পরিমাণ হঠাৎ অতিরিক্ত কমে যাওয়া,
এর ফলে ব্রেইন ঠিকমতো কাজ করবে না। ইনফেকশন, অসুস্থতা, ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং কিছু
ওষুধ এই কোমা তৈরি করে এবং সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে হয়। হাইপারথায়রয়েডডজমের ফলে হওয়া
থায়রয়েড স্টর্মের মতোই এই “মিক্সএডেমা কোমা জীবনঘাতী”। 

প্রশ্ন: এছাড়া আর কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর: থায়রয়েড গ্রন্থিতে টিউমার হতে পারে। যেটাকে নডিউল বলা হয়। সিঙ্গেল (একটি)
নডিউল হতে পারে, মাল্টিপল (অনেক) নডিউল হতে পারে। সিঙ্গেল নডিউল হলে একটি কারণে হয়।
যেমন- ফলিকুলার এডিনোমা। এটি বেনাইন বা ভাল ধরনের। সিস্ট হতে পারে। কলোয়েড গয়েটার
হতে পারে। এগুলো সবাই ক্যান্সার তৈরীকারী নয়। তবে অনেক সময় ক্যান্সার পর্যন্ত হতে
পারে। যাকে সাধারণত থায়রয়েড ক্যান্সার বলা হয়। থায়রয়েড ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা
সময়মতো চিকিৎসা করলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব।

প্রশ্ন: আয়োডিনের সাথে থায়রয়েড গ্লান্ডের সম্পর্ক কী?
উত্তর: আয়োডিন থায়রয়েড হরমোন তৈরির বিশেষ একটি উপাদান। আয়োডিন যদি কম থাকে গ্রন্থি
চেষ্টা করবে শরীরের হরমোনকে স্বাভাবিক রাখতে। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে বড় হয়ে যাবে।
যাকে হাইপাট্রোফি বলা হয়। গ্রন্থি বড় হয়ে যাবে এবং হরমোন স্বাভাবিকভাবে বের করার
চেষ্টা করবে। করতে করতে এক সময় আর স্বাভাবিকভাবে তৈরি করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে
হাইপোথায়রয়েডডজম হয়ে যাবে।

আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে নিম্নলিখিত বিশৃঙ্খলাগুলো ঘটতে পারে:
    থায়রয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি।
    মানসিক অসুস্থতা: ক্ষীণ বুদ্ধিমত্তা, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, শিশুদের জ্ঞান
সম্পর্কীয় উন্নয়নে বিকলতা।
    স্নায়ুপেশিগত দুর্বলতা ও স্প্যাস্টিসিট (পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া)। 
    গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে মৃত শিশুর প্রসব এবং স্বাভাবিক ভ্রূণমোচন।
    মূকবধিরত্ব (কথা বলতে অক্ষমতা) ও ডোয়ারফিজমের বা বামনত্ব (অস্বাভাবিক)।
    (শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি) জন্মগত অস্বাভাবিকতা।
    দেখা, শোনা ও কথা বলায় অস্বাভাবিকতা।

আয়োডিনের সবচেয়ে সাধারণ উৎস হলো আয়োডিনযুক্ত লবণ। তাছাড়া নিম্নলিখিত অন্যান্য
খাদ্যেও পাওয়া যায়।
*    ডিম
*    দুধ
*    সমুদ্র-শৈবাল
*    শেলফিস
*    সামুদ্রিক মাছ
*    সিফুড 

*    মাংস

*     খাদ্যশস্য

প্রশ্ন: স্বাভাবিকভাবে একজন ব্যক্তির শরীরে কতটা পরিমাণ লবণ প্রয়োজন?
উত্তর: গড়ে ১৫০ মাইক্রোগ্রাম (১,০০০,০০০ মাইক্রোগ্রাম=১ গ্রাম) প্রতিদিন।

প্রশ্ন: স্বাভাবিকভাবে একজন ব্যক্তির শরীরে কতটা পরিমাণ লবণ প্রয়োজন?
উত্তর: হ্যাঁ, সাধারণের তুলনায় গর্ভবতী মহিলার অতিরিক্ত আয়োডিনের প্রয়োজন, কারণ
আয়োডিনের ঘাটতি গর্ভের শিশু ও গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে মারাত্মক।

প্রশ্ন: থায়রয়েড রোগ নির্ণয়ের জন্য নিউক্লিয়ার মেডিসিনে পাঠানো হয় কেন?
উত্তর: নিউক্লিয়ার মেডিসিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেজস্ক্রিয় আয়োডিন রোগীকে খাওয়ানোর
পরে নির্দিষ্ট সময় পর কত শতাংশ অপটেক হচ্ছে থায়রয়েড গ্রন্থিতে এটি দেখা হয়। দেখে
বলা যায় এর কার্যকারিতা কম না বেশি।

এছাড়া থাইরয়েডের স্ক্যান করা হয়, এখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেজস্ক্রিয় টেকনেশিয়াম
রোগীকে দেয়া হয়। এটি দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পরে গামা ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করা হয়।
গামা ক্যামেরা হলো এমন একটি ক্যামেরা যে গামা-রে দিয়ে ছবি নিতে পারে। স্ক্যানের
মাধ্যমে দেখা হয় থায়রয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন সমস্যা। আর যদি কোনো নডিউল থাকে এর
কার্যকারিতা কেমন সেটিও দেখা যায়।

প্রশ্ন: তেজস্ক্রিয় না শুনলে অনেকেরই ভয় লাগে। এতে কোনো ক্ষতি হতে পারে কি?
উত্তর: সাধারণত যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহার করা হয, এটি পরিমাণে খুবই কম।
এত ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। তবে গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য এটি নিষিদ্ধ।

প্রশ্ন: হাইপোথায়রয়েডডজম বা হাইপার থায়রয়েডডজমের বেলায় কি চিকিৎসার ক্ষেত্রে
নিউক্লিয়ার মেডিসিনের কোন প্রভাব রয়েছে?
উত্তর: সাধারণত হাইপোথায়রয়েডডজমে চিকিৎসা হলে থায়রয়েড হরমোন পরিপূর্ণ। এই চিকিৎসা
একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং একজন এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন বিশেষজ্ঞ করতে পারে।
এখানে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের আলাদা করে কোনো ভূমিকা নেই। তবে যখন হাইপার থায়রয়েডডজম
বা ক্যান্সারের বিষয়টি আসে, সেখানে শুধুমাত্র রোগ নির্ণয়ের জন্য এবং গ্লান্ড নষ্ট
বা কোষ ধ্বংস করার জন্য নিউক্লিয়ার মেডিসিনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

    থায়রয়েড গ্লান্ড মানব শরীরে প্রধান বিপাকীয় হরমোন তৈরিকারী গ্লান্ড।
    বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হরমোনটি শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
    বড়দের ক্ষেত্রে প্রজননে অক্ষমতা, মহিলাদের মাসিকের সমস্যা, পেটের বাচ্চা নষ্ট
হওয়াসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
    থায়রয়েড ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা সময়মতো চিকিৎসা করলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে
সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব।
    গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের হাইপোথাইরয়ডিজমের কারণে বাচ্চা বোকা ও বুদ্ধিহীন হতে
পারে।




বিস্তারিত দেখুন


গাইনী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন




প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কি ?

মেয়েদের সকলপ্রকার মেয়েলি রোগ যেমন গর্ভবতী হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন চিকিৎসা,
ঋতুস্রাব, তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, নরমাল ডেলভারী, সিজার,
মেনোপোজ এর চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকে গাইণী বিশেষজ্ঞরা। সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক
এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গাইণী বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা প্রদান করে
থাকেন। এই রোগের সকল টেস্ট সকল হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে করার ব্যবস্থা
রয়েছে।


প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কখন/কেন দেখাবেন ?

গর্ভাবস্থায় বা গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা 




বিস্তারিত দেখুন


গাইনী, শিশু, মেডিসিন, ডায়াবেটিস, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ




প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কি ?

মেয়েদের সকলপ্রকার মেয়েলি রোগ যেমন গর্ভবতী হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন চিকিৎসা,
ঋতুস্রাব, তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, নরমাল ডেলভারী, সিজার,
মেনোপোজ এর চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকে গাইণী বিশেষজ্ঞরা। সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক
এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গাইণী বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা প্রদান করে
থাকেন। এই রোগের সকল টেস্ট সকল হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারে করার ব্যবস্থা
রয়েছে।


প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কখন/কেন দেখাবেন ?

গর্ভাবস্থায় বা গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা 




বিস্তারিত দেখুন


ব্রেইন, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ



আমাদের দেশে প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে স্ট্রোক হৃৎপিণ্ডের একটি রোগ। বাস্তবে এটি
মোটেই সত্য নয়। স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালির দুর্ঘটনাকেই
স্ট্রোক বলা যায়। এই দুর্ঘটনায় রক্তনালি বন্ধও হতে পারে, আবার ফেটেও যেতে পারে। এ
কারণে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। স্ট্রোক সম্পূর্ণই মস্তিষ্কের
রক্তনালির জটিলতাজনিত রোগ।

স্ট্রোকে আক্রান্তের হার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার
অভাবেই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ
স্ট্রোকের রোগী রয়েছে। প্রতি হাজারে গড়ে ৩ থেকে ৫ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে।
সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার বেশি লক্ষ করা
গেলেও যে কোনো বয়সেই তা হতে পারে। ৫০ বছর বয়সের পর প্রতি ১০ বছরে স্ট্রোকের ঝুঁকি
দ্ব্বিগুণ হয়। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। নারীদের মধ্যে স্ট্রোকে
আক্রান্তের হার কিছুটা কম।

যেসব কারণ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে—

 

অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ স্ট্রোকের সবচেয়ে বড়ো কারণ। রক্তচাপের রোগী যারা নিয়মিত
ওষুধ ব্যবহার করে না বা কয়েক দিন খেয়ে প্রেশার কমে গেলে ওষুধ বন্ধ করে দেয় বা মনে
করে উচ্চরক্তচাপে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হচ্ছে না, তাই রক্তচাপের ওষুধ সেবন করে
না।

ধূমপান, তামাকপাতা, গুল, জর্দা, মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবন।

অতিরিক্ত টেনশন, হূদেরাগ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তে বেশি মাত্রায় চর্বি বা
অতিমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতি।

অনিয়ন্ত্রিত অলস জীবন যাপন করা, বেশি বেশি চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া, স্থূলতা বা
অতিরিক্ত মোটা হওয়া, অতিরিক্ত মাত্রায় কোমল পানীয় গ্রহণ এবং অধিক পরিমাণে লবণ
খাওয়া।

কিছু কিছু ওষুধ যা রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যেমন অ্যাসপিরিন, ক্লপিডগ্রেল
প্রভৃতি ব্যবহারে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

ঘুমের সময় নাক ডাকা, ঘুমের সময় শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ।

যে কোনো ধরনের প্রদাহ অথবা ইনফেকশন এবং জন্মগতভাবে ব্রেনে কিংবা মস্তিষ্কে সরু
রক্তনালি থাকা।

অনেক সময় বংশানুক্রমে বা পূর্বের স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও দূরবর্তী রক্তনালি বন্ধ
হওয়ার কারণেও স্ট্রোক হতে পারে।

যারা আগে থেকে বিভিন্ন রকমের হূদেরাগে ভোগে যেমন: ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, হার্টের
ভাল্বে সমস্যা, অনিয়মিত হূত্স্পন্দন, ইতিপূর্বে মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া
ইত্যাদি।

 

স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ :

শরীরের কোথাও বা একাংশ অবশ ভাব লাগা কিংবা দুর্বল বোধ করা বা প্যারালাইসিস। পা,
হাত, মুখ অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, পা দুটিতে দুর্বল বোধ করা।

চলাফেরা করতে না পারা, চলাফেরায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রমে
অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়া।

কথা বলতে সমস্যা হওয়া, বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পতিত হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, অস্পষ্ট
হওয়া এবং একেবারে কথা বলতে বা বুঝতে না পারা।

এক চোখ বা দুই চোখেই ক্ষণস্থায়ী ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টি ঘোলা লাগা বা একেবারেই না
দেখা।

হঠাত্ তীব্র মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরা, হঠাত্ করে কিছুক্ষণের জন্য
হতবিহবল হয়ে পড়া, বমি বমি বোধ অথবা বমি করা।

স্ট্রোকের মারাত্মক উপসর্গ হচ্ছে অজ্ঞান হওয়া, খিঁচুনি, তিব্র মাথাব্যথা ও বমি।

 




বিস্তারিত দেখুন


অর্থোপেডিক ও ট্রমা, হাড় জোড়া ও পঙ্গু রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন



অর্থোপেডিক ও ট্রমা, হাড় জোড়া ও পঙ্গু রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন




বিস্তারিত দেখুন


মেডিসিন, ডায়াবেটিস, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, বাত-ব্যাথা বিশেষ অভিজ্ঞ



মেডিসিন, ডায়াবেটিস, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, বাত-ব্যাথা বিশেষ অভিজ্ঞ




বিস্তারিত দেখুন


আমাদের সম্পর্কে রোগীরা যা বলে

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) নরসিংদীর একটি
ঐতিহ্যবাহী চেম্বার। রোগীদের সেবা করার জন্য সার্বক্ষণিক অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
পাওয়া যায়। এখানে অতি আধুনিক মেশিনে রোগ নির্ণয় করা হয়।

জে ডি প্যাথলজি সেন্টার er sheva sotti e onk valo... Tnq

RAFSAN KHAN

প্রফেশনাল

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) একটি নির্ভরযোগ্য
প্রতিষ্ঠান এবং ডাক্তার চেম্বার। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও খুব ভালো মানের হয়। এককথায়
একটি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ব্ল্যাক লাভার

ছাত্র

জে ডি প্যাথলজি সেন্টার er sheva sotti e onk valo... Tnq

RAFSAN KHAN

প্রফেশনাল

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) একটি নির্ভরযোগ্য
প্রতিষ্ঠান এবং ডাক্তার চেম্বার। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও খুব ভালো মানের হয়। এককথায়
একটি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ব্ল্যাক লাভার

ছাত্র

জে ডি প্যাথলজি সেন্টার er sheva sotti e onk valo... Tnq

RAFSAN KHAN

প্রফেশনাল

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) একটি নির্ভরযোগ্য
প্রতিষ্ঠান এবং ডাক্তার চেম্বার। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও খুব ভালো মানের হয়। এককথায়
একটি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ব্ল্যাক লাভার

ছাত্র

জে ডি প্যাথলজি সেন্টার er sheva sotti e onk valo... Tnq

RAFSAN KHAN

প্রফেশনাল

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) একটি নির্ভরযোগ্য
প্রতিষ্ঠান এবং ডাক্তার চেম্বার। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও খুব ভালো মানের হয়। এককথায়
একটি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ব্ল্যাক লাভার

ছাত্র
prev
next

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার)


সার্বক্ষণিক অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) যাত্রার
প্রারম্ভকাল থেকেই সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে।
দেশের সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল-এর স্বনামধন্য ডাক্তারগণ নিয়মিত জে ডি প্যাথলজি
সেন্টার-এ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি
প্যাথলজি সেন্টার)-এ রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন মেডিকেল ল্যাবরেটরি এবং
রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় করার লক্ষ্যে দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।

বিস্তারিত দেখুন


9632

রোগী সন্তুষ্টি

20

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

1023

দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট

100

% সহজ ঠিকানা


আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) যাত্রার
প্রারম্ভকাল থেকেই সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে।
দেশের সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল-এর স্বনামধন্য ডাক্তারগণ নিয়মিত জেডি প্যাথলজি
সেন্টার-এ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডা: মো: শফিউল ইসলাম

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন), এফসিসিপি (আমেরিকা), এফসিপিএস
(বক্ষব্যাধি)
বক্ষব্যাধি, মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও বাত-ব্যাথা বিশেষজ্ঞ
জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডা: কৃষ্ণ কান্ত সেন

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস ||, এমডি (কার্ডিওলজী)
হৃদরোগ, মেডিসিন ও বাতজ্বর বিশেষজ্ঞ
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, টাঙ্গাইল

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডাঃ শুভাশীষ দাশ

এমবিবিএস, এফসিপিএস
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
কনসালটেন্ট

ডাঃ সুব্রত পোদ্দর চয়ন

এমবিবিএস ( ডিএমসি), বিসিএস ( স্বাস্থ্য ), এফসিপিএস
(মেডিসিন),এমএসিপি(আমেরিকা),এম.ডি(গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী,থেরাপিউটিক এন্ডোস্কপিস্ট ও
কোলনোস্কপিস্ট
মেডিসিন,লিভার ও পরিপাকতন্ত্র রোগ বিশেষজ্ঞ
শেখ রাশেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল,ঢাকা।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডা: খন্দকার তারিকুল ইসলাম

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিসিএইচ (শিশু), এফসিপিএস || (শিশু), এমডি (শিশু)
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডাঃ এস এম সাজ্জাদ জালাল

এমবিবিএস, বিসিএস, এম ফিল (রেডিওলজি ও ইমেজিং)
ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্সরে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই বিশেষজ্ঞ
রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
কনসাল্টেন্ট গাইনী এন্ড অবস

ডা: বীথি রায় সেন

এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস)
গাইনী, গর্ভবতী মা, বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
কনসাল্টেন্ট গাইনী এন্ড অবস

ডা: তাজরিয়ান আক্তার (শিল্পী)

এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস্)
স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি বিদ্যা ও টিভিএস (TVS) আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ
সদর হাসপাতাল, নরসিংদী।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
কনসাল্টেন্ট গাইনী এন্ড অবস

ডা: হালিমা আক্তার

এমবিবিএস, এমসিপিএস (গাইনী), ডিজিও (পি.জি হাসপাতাল)
ডিপ্লোমা ইন মেডিকল আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ঢাকা।
স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি বিদ্যা ও টিভিএস (TVS) আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ
কনসাল্টেন্ট গাইনী, এন ডি এইচ নরসিংদী।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডাঃ এম.কে. আলম টিটু

এমবিবিএস (ঢাকা), ডিডিভি (বিএসএমএমইউ), এমডি (কোর্স)
চর্ম, যৌন, সেক্স, এলার্জি, কুষ্ঠ রোগ কসমেটিক ডার্মাটো সার্জারি বিশেষজ্ঞ
পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজ এন্ড হসপিটাল

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডা: মো: মোশাররফ হোসেন

এমবিবিএস (এস এস এম সি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিডিভি (ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
এলার্জি, চর্ম, যৌন (সেক্স) রোগ বিশেষজ্ঞ
-

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডাঃ রিপন দেবনাথ

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি), স্পেশাল ট্রেনিং ইন এন্ডোইউরোলজি
(ভারত)
ইউরোলজি (কিডনী) বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক (এম ডি নিউরোমেডিসিন)

ডাঃ সাহাদাৎ হাসান

এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
ব্রেইন, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (প্রাক্তন পি.জি হাসপাতাল), ঢাকা

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
-

ডা: তন্ময় কর

এমবিবিএস (ডি.ইউ), বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডি. এল. ও (বি.এস.এম.এম.ইউ)
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতাল।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
-

ডা: মো: নাদিরুল আমিন

এমবিবিএস (সি. ইউ), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
ডিএলও, নাক, কান, গলা (ইএনটি)
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন
সদর হাসপাতাল, নরসিংদী

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
কনসাল্টেন্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিস্ট

ডা: মো: পলাশ মোল্লা

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিইএম (এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড ডায়াবেটোলজি), এফসিপিএস
(||) মেডিসিন, MACE (USA)
হরমোন, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল, নরসিংদী।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
জুনিয়র কনসাল্টেন্ট - গাইনী

ডা: মন্দিরা সরকার

এমবিবিএস (ডিএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিজিও (ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
গাইনী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ
-

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
ডিএমইউ (ঢাকা মেডিকেল কলেজ)

ডা: মিতালী সাহা

এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনী এন্ড অবস্)
গাইনী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ
প্রাক্তন আরএমও আর.এ হাসপাতাল, ঢাকা।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
সহকারী অধ্যাপক

ডাঃ এ কে এম আনিছুজ্জামান চেীধুরি

এমবিবিএস ( ডিইউ), বিসিএস ( স্বাস্থ্য ), ডি.অর্থো ( নিটোর-পঙ্গু হাসপাতাল,ঢাকা),
এমএস-অর্থো ( নিটোর-পঙ্গু হাসপাতাল,ঢাকা)
অর্থোপেডিক ও ট্রমা, হাড় জোড়া ও পঙ্গু রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ,মানিকগন্জ ।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার

ডা: শাকিলুর রহমান খান

এমবিবিএস (ডিসিএমসি), এমজিএইচ (সুইডেন), সিসিডি (বারডেম), Certified in COVID
Management (RCPE,UK)
মেডিসিন, ডায়াবেটিস, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, বাত-ব্যাথা বিশেষ অভিজ্ঞ
ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, এন ডি এইচ নরসিংদী।

বিস্তারিত দেখুন
বিস্তারিত দেখুন
ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার

ডা: ইফ্ফাত খান

এম বি বি এস (সি ইউ), সি এম ইউ (আল্ট্রাসনোগ্রাম), বিএমডিসি রেজি. নং- A 107620
গাইনী, শিশু, মেডিসিন, ডায়াবেটিস, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
-

বিস্তারিত দেখুন
সকল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার


অতি আধুনিক মেশিনে রোগ নির্ণয়

জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) যাত্রার
প্রারম্ভকাল থেকেই সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে। জে
ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার)-এ রয়েছে অত্যাধনিক
প্রযুক্তি সম্পন্ন মেডিকেল ল্যাবরেটরি এবং রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় করার লক্ষ্যে
দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।

বিস্তারিত দেখুন


আমাদের ব্লগ পড়ুন

হৃদরোগ কি, কেন হয়?

17 October, 2022

হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট যখন তার কাজ
ঠিকঠাকমতো করতে পারে না,তখন হার্ট ফেইলিওর হয়। হার্টে ফেল করলে হৃৎপিন্ড সংকোচনের
মাধ্যমে রক্ত বের করতে পারে না ফলে ফুসফুস, পা এবং পেটে পানি জমে যায়। হার্ট ফেইলুর
হঠাৎ করে হতে পারে আবার ধীরে ধীরে হতে পারে।

হৃৎপিন্ড প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার সংকোচন-প্রসারনের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি
কোষে বিশুদ্ধ রক্ত ও খাদ্যকণা পৌঁছে দেয়। একই সঙ্গে দেহের দুষিত রক্তকে বিশুদ্ধ
করণের জণ্য ফুফুসে সরবরাহ করে। দেহের প্রতিটি আঙ্গের বেঁচে থাকার জন্য হৃৎপিন্ডকে
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হয়। নিজের প্রয়োজনীয় রসদ হৃৎপিন্ড নিজস্ব তিনটি করোনারি
আর্টারির মাধ্যমে নিয়ে থাকে। হৃৎপিন্ড তার কাজ ঠিকমতো করতে না পারাকেই হার্ট ফেইলুর
বলা হয় যা সহজভাবে হার্ট ফেল নামে পরিচিত।

হার্ট ফেইলুর বা হৃৎপিন্ডের ব্যথ্যতা বা কর্মহীনতার জন্য সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেয়া জরুরী। অনেকে ভুল করে হার্ট অ্যটাক এবং হার্টফেইলকে একই রোগ ভেবে থাকনে। হার্ট
অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলর আলাদা সমস্যা, যদিও একটির কারণে অন্যটি হতে পারে। আবার
দুটি এক সঙ্গেও হতে পারে।

হার্ট ফেলের কারণ

হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন, আনস্টেবল এনজাইনা), অ্যানিমিয়া
(রক্তমূন্যতা), হার্ট ভাইরাস সংক্রামণ, হাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, পেরিকার্ডিয়ামের রোগ
সিটেমিক রোগ ইত্যাদি।

যেসব কারণে হার্টের সমস্যা থাকাকালে হার্ট ফেইলুর চরমপর্যায়ে যেতে পারে

১. মায়োকার্ডিয়াল ইসকোমিয়া/ইনফার্কশন

২. সংক্রমন

৩. হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনত যেমন atrial Flabrillation

৪. ডাবেটিস

৫. হার্ট ফেলের অপর্যাপ্ত চিকিৎসা

৬. শরীরে পানি ধরে রাখার মতো অষুধ, যেমন -ব্যাধানাশক, স্টেরয়েড।

৭. গর্ভাবস্থা, রক্তশূন্যতা ও থাইরয়েডের রোগ

৮. শরীরে অতিরিক্ত পানি প্রয়োগ

 

হার্ট ফেলের উপসর্গ

১. শ্বাসকষ্ট

২. শরীরে অতিরিক্ত পানি বা ইডেমা

৩. কাশি

৪. দুর্বল লাগা

৫. রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া

৬. ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব

৭. বুক ব্যাথা

৮. জটিলতা নিয়ে উপস্থিত, যেমন-কিডনি বিকল ইলেকট্রলাইটের তারতম্য, লিভারের সমস্যা,
স্ট্রোক, হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনতা।

 

হার্টফেল প্রতিরোধের জন্য যা করতে হবে

১. ধুমপান/তামাক/জর্দা/নস্যি বর্জন করতে হবে

২. কাঁচা/ভাজা সকল প্রকার আলগা যাথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

৩. উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস থাকলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

৪. কায়িক শ্রম

৫. উত্তেজন পরিহার

৬. যে কোন সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে হবে জরুরীভাবে

৭. রক্তশূন্যতা পূরণ করতে হবে

৮. ওজন আদর্শ মাত্রায় রাখতে হবে

৯. সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে

১০. পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে

১১. আদর্শ জীবনযাপন করতে হবে

হার্ট অ্যাটাক

24 September, 2022
হৃৎপিণ্ড বা হার্ট আমাদের শরীরে রক্ত সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। কাজটি
নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে রক্তনালীর মাধ্যমে হার্টের নিজস্ব রক্ত সরবরাহও
নিরবচ্ছিন্নভাবে বজায় থাকতে হয়।
কোনো কারণে হার্টের এই নিজস্ব রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে গেলে অথবা রক্তনালীর ভেতরে
ব্লক বা বাধা সৃষ্টি হলে হার্টের রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক
বলা হয়। হার্ট অ্যাটাককে মেডিকেলের ভাষায় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এমআই) বলা
হয়।
হার্ট অ্যাটাক একটি ইমারজেন্সি অবস্থা। আপনার অথবা আপনার আশেপাশের কারও হার্ট
অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে
হবে।
হার্টে রক্ত সরবরাহ বন্ধ থাকলে সেটি হার্টের পেশীগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
এর ফলে রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ হলো—
১. বুকে ব্যথা: বুকের মাঝখানে চাপ ধরার মতো ব্যথা হতে পারে। এছাড়া রোগীর বুকের
মধ্যে কিছু চেপে বসে আছে অথবা কিছু আটকে (টাইট হয়ে) আসছে এমন অনুভূত হতে পারে
২. শরীরের অন্য জায়গায় ব্যথা: এই ব্যথা বুক থেকে হাতে চলে আসছে এমন মনে হতে পারে।
সাধারণত বাম হাতে এমন ব্যথা হয়। তবে এই ব্যথা উভয় হাতেই যেতে পারে। হাতের
পাশাপাশি চোয়াল, ঘাড়, পিঠ ও পেটে ব্যথা যেতে পারে।
৩. মাথা ঘুরানো অথবা মাথা ঝিমঝিম করা
৪. শরীরের ঘেমে যাওয়া
৫. শ্বাসকষ্ট
৬. বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া
৭. প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া: রোগী অস্বাভাবিক অস্থিরতা অনুভব করবেন (প্যানিক
অ্যাটাক) অথবা তিনি মারা যাচ্ছেন এমন মনে হবে।
মনে রাখতে হবে, হার্ট অ্যাটাক হলেই সবার বুকে তীব্র ব্যথা হবে—এমনটি নয়। কারও কারও
ক্ষেত্রে ব্যথাটি বদহজম অথবা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মতো সামান্য বা মৃদু হতে পারে।
কেউ কেউ আবার একেবারেই ব্যথা অনুভব করেন না। বিশেষত অনেক নারী রোগীর ক্ষেত্রে এমনটি
দেখা যায়।
এসব ক্ষেত্রে রোগীর আসলেই হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে কি না তা বুক ব্যথার তীব্রতার ওপর
নয়, বরং আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হয়।
হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে মনে হলে দেরি না করে হাসপাতালে যেতে হবে। লক্ষণগুলো নিয়ে
সন্দেহ থাকলেও চিকিৎসা নিতে দ্বিধা করা ঠিক নয়। কারণ অন্য কোনো রোগের কারণে
লক্ষণগুলো দেখা দিলে হাসপাতালে সেটিরও চিকিৎসা করা সম্ভব। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হার্ট
অ্যাটাক হয়ে থাকলে যদি সঠিক চিকিৎসা না নেওয়া হয় তাহলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে
পারে।
গুরুত্বপূর্ণ: কিছু ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলে হার্ট রক্ত পাম্প করা একেবারে বন্ধ
করে দিয়ে স্থবির হয়ে যেতে পারে। এই ঘটনাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলা হয়ে থাকে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—
রোগী শ্বাস নিচ্ছে না বলে মনে হওয়া
রোগীর সব ধরনের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া
রোগীর সাথে কথা বললে বা তার গায়ে সজোরে ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়া না পাওয়া
যদি কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে সাথে সাথে রোগীকে সিপিআর
(কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দিতে হবে। একই সাথে অন্যদের সাহায্য নিয়ে রোগীকে যত
দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা
রোগীর হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে মনে হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে
হবে। হার্টের ওপরে চাপ কমাতে হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বের সময়টুকুতে রোগীকে
সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
হাতের কাছে অ্যাসপিরিন (৩০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেট থাকলে এবং রোগীর অ্যাসপিরিন জাতীয়
ঔষধে কোনো অ্যালার্জি না থাকলে হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত আস্তে আস্তে চিবিয়ে
ট্যাবলেটটি খেতে পারে।
অ্যাসপিরিন রক্ত পাতলা করে এবং হার্টে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
হার্ট অ্যাটাক কতটা গুরতর সেটির ওপর নির্ভর করে হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে
নেওয়া হয়। প্রধান দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো—
জমাট বাঁধা রক্ত ভাঙতে ঔষধ দেওয়া
হার্টের রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অপারেশন করা
বিস্তারিত পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের কারণ
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ হলো রক্তনালী সম্পর্কিত হৃদরোগ বা করোনারি হার্ট
ডিজিজ।
হার্টে রক্ত সরবরাহকারী প্রধান রক্তনালীগুলোকে করোনারি আর্টারি বা ধমনী বলা হয়।
করোনারি হার্ট ডিজিজে এসব ধমনীর ভেতরে কোলেস্টেরল জমা হয়ে রক্তের স্বাভাবিক
প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। জমাট বাঁধা এসব কোলেস্টেরলকে প্ল্যাক বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের আগে এমন একটি কোলেস্টেরল প্ল্যাক ফেটে যায়। ফলে সেখানে রক্ত জমাট
বাঁধে। এই জমাট বাঁধা রক্ত হার্টে রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে।
কিছু বিষয়ের কারণে করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন—
ধূমপান করা
উচ্চ রক্তচাপ
রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকা
খাদ্যে অস্বাস্থ্যকর চর্বিবহুল খাবার রাখা
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হওয়া
ডায়াবেটিস
এছাড়া আপনার বাবা অথবা ভাই ৫৫ বছর বয়সের আগে কিংবা আপনার মা অথবা বোন ৬৫ বছর
বয়সের আগে হার্ট অ্যাটাক অথবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, আপনারও করোনারি হার্ট
ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
হার্ট অ্যাটাকের পরে সুস্থতা লাভ
হার্ট অ্যাটাকের পরে আরোগ্য লাভ করতে কতটুকু সময় লাগবে তা নির্ভর করে হার্টের
পেশীগুলো কী পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটির ওপর।
বেশীরভাগ রোগীই হার্ট অ্যাটাকের পরে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন। কেউ কেউ ২
সপ্তাহ পরেই কাজে যোগ দিতে পারেন। আবার অন্যদের সুস্থ হয়ে উঠতে কয়েক মাস সময়
লেগে যেতে পারে। একজন রোগী কত দ্রুত কাজে ফিরতে পারবেন সেটি নির্ভর করে তার
স্বাস্থ্য, হার্টের অবস্থা ও কাজের ধরনের ওপর।
আরোগ্য লাভের প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো—
১. জীবনধারায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর পরিবর্তনের সমন্বয় ঘটিয়ে (যেমন: স্বাস্থ্যকর ও
সুষম ডায়েট) এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর ঔষধ (যেমন: স্ট্যাটিন গ্রুপের ঔষধ)
সেবনের মাধ্যমে পুনরায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনা।
২. ধীরে ধীরে শারীরিক সুস্থতা বা ফিটনেস ফিরিয়ে আনা যেন রোগী স্বাভাবিক জীবনে
ফিরতে পারেন। এই প্রক্রিয়াকে কার্ডিয়াক পুনর্বাসন বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাক-পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা
হার্ট অ্যাটাকের ফলে সৃষ্ট জটিলতাগুলো গুরুতর—এমনকি প্রাণঘাতী হতে পারে। এসব
জটিলতার মধ্যে রয়েছে—
অ্যারিদমিয়া: সহজ ভাষায় অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন বা হার্টবিটকে অ্যারিদমিয়া বলা
হয়। এক ধরনের অ্যারিদমিয়াতে হার্ট প্রথমে খুব দ্রুত স্পন্দন বা পাম্প করতে শুরু
করে। এরপর হঠাৎ হার্টে খিঁচুনির মতো অবস্থা শুরু হয়ে যায় এবং হার্ট কাজ করা
সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয় (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট)
কার্ডিওজেনিক শক: এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের পরে হার্টের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল
হয়ে পড়ে যে হার্ট স্বাভাবিক শারীরিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেহে যথেষ্ট
পরিমাণ রক্ত সঞ্চালন করতে ব্যর্থ হয়
হার্ট রাপচার: এই অবস্থায় হার্টের পেশী, দেয়াল অথবা ভেতরের ভালভগুলোর যেকোনোটি
ছিঁড়ে বা ফেটে যেতে পারে
এসব জটিলতা হার্ট অ্যাটাকের অল্প সময়ের মাঝেই দেখা দিতে পারে। এগুলো হার্ট অ্যাটাক
জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ। এসব জটিলতা থেকে অনেকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বে কিংবা
হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাসের মধ্যে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে পারেন।
একজন রোগীর মধ্যে এসব জটিলতা কতটুকু প্রভাব ফেলবে সেটি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর
করে। যেমন—
বয়স বাড়ার সাথে বিভিন্ন গুরুতর জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
হার্ট অ্যাটাকের ধরনটি কতটা গুরুতর এবং অ্যাটাকের ফলে হার্টের পেশীগুলো কতটুকু
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ওপর জটিলতার তীব্রতা নির্ভর করে
এ ছাড়া লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর থেকে চিকিৎসা শুরু করতে যতটুকু সময় লাগে সেটি
বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার পাঁচটি প্রধান উপায় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে
হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন ব্যক্তিও এই পাঁচটি উপদেশ মেনে চলার মাধ্যমে পুনরায়
হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারবেন। উপায়গুলো হলো—
১. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দিতে হবে।
২. শরীরের ওজন বেশি হলে সেটি কমিয়ে ফেলতে হবে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই
ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। প্রথমবারের মতো ব্যায়াম করা শুরু করার আগে
ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৪. খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে পূর্ণশস্য (যেমন: ঢেঁকিছাটা চাল বা লাল চাল ও লাল
আটার রুটি) সহ ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিনের খাবার
তালিকায় প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে।
৫. মদপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দিতে হবে
লিখেছেন ডা. বিদিশা কুন্ডু প্রমা
মেডিকেল রিভিউ করেছেন ডা. ইমা ইসলাম

#শীতের_শুরুতেই_শ্বাসকষ্ট_বাড়লে_যা_করবেন

24 September, 2022
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ছোট-বড় অনেকেই ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্বাসকষ্ট আসলে কোনো
রোগ নয়। এটি অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়।
নাক বন্ধভাব থেকে শুরু করে সর্দি, চোখে চুলকানি ও পানি পড়া, বুকে চাপ বোধ, কাশি,
হাঁচি, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি সমস্যা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত।
বছরের অন্যান্য সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলেও এটি বেড়ে যায় শীতে। এর কারণ হলো
ঠান্ডা আবহাওয়া। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। ফলে ধুলাবালির পরিমাণ
বাড়ে।
শীতে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাওয়া শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ। শ্বাসকষ্ট
সাধারণত ২ রকমের- অ্যাকিউট বা তীব্র ধরনের, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তীব্র
শ্বাসকষ্টে রূপান্তরিত হয়। এতে অতি দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
দ্বিতীয়টি ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, যার তীব্রতা প্রথমে কম থাকে, পরে বাড়তে
থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে শীতে দুটি কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এ সময় তাপমাত্রার পরিবর্তনের
কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একই সঙ্গে পরিবেশের শুষ্কতার কারণে
বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার বা আর্দ্রতা কমে যায়।
এ কারণে জীবাণু সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে প্রদাহ ঘটায়। তবে
শরীর থেকে তা সহজে বের হয় না। তখন জীবাণুরা বংশ বিস্তার করে ও শ্বাসতন্ত্র আক্রমণ
করে।
তাই এমনিতেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের ঠিক একই কারণে রোগের প্রকোপ বাড়ে। আবার
যারা সারা বছর শ্বাসকষ্টে ভোগেন না, তাদের ক্ষেত্রেও শীত আসলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা
রদেখা দিতে পারে।
এ সময় শ্বাসকষ্ট হলে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-
>> দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগলে তা সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস, টিবি বা যক্ষ্মা,
অ্যাজমা, অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন।
>> ছোটবেলা থেকেই যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে তা অ্যাজমা বা হাঁপানির জন্য
হয়। এ ধরনের রোগীর বয়স বাড়লে তীব্র ধরনের অ্যাজমায় আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে।
>> অ্যাজমা বা হাঁপানিজনিত কারণে রাতে বা ভোরে বেশি শ্বাসকষ্ট হয়। আবার কাশিও বাড়তে
থাকে রাত হলে।
>> শ্বাসকষ্টের সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, বুকে ব্যথা হয়, শ্বাস নিতে শোঁ শোঁ শব্দ হয়,
তা সাধারণত নিউমোনিয়ার জন্য হয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখলেই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে
হবে।
>> যাদের কিডনি-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন। কারণ কিডনির অসুখে রক্তে এসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শ্বাসকষ্ট মারাত্মক সমস্যার
সৃষ্টি করতে পারে।
>> এ সময় যেহেতু বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক
ব্যবহার করুন।
>> ঘরের ভেতরও পরিষ্কার রাখুন। না হলে ঘরের ধুলোও শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সম্ভব হলে এয়ার পিউরিফাইয়ার রাখতে পারেন ঘরে।
>> এ সময় অবশ্যই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে যদি
ধূমপান করেন, তাহলে ফুসফুসের উপর চাপ বেশি পড়ে।
বিস্তারিত দেখুন


ইমার্জেন্সি প্রয়োজন? ফোন করুন!


০১৭৮০৪০১০২৬


০১৩২৪৪১৯৭৭০


০১৭১১৬৯৮৭৫৬

আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন (নরসিংদী পৌরসভা থেকে ১০০ গজ উত্তর পাশে), সদর রোড ,
নরসিংদী - ১৬০০।

সিরিয়াল/এ্যপয়েন্টমেন্ট


জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) নরসিংদীর একটি
ঐতিহ্যবাহী চেম্বার। রোগীদের সেবা করার জন্য সার্বক্ষণিক অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
পাওয়া যায়। এখানে অতি আধুনিক মেশিনে রোগ নির্ণয় করা হয়।

 * 
 * 
 * 
 * 




আমাদের সাথে যোগাযোগ

আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন (নরসিংদী পৌরসভা থেকে ১০০ গজ উত্তর পাশে), সদর রোড ,
নরসিংদী - ১৬০০।


০১৭৮০৪০১০২৬

০১৩২৪৪১৯৭৭০

০১৭১১৬৯৮৭৫৬

jdpathologycenter@gmail.com

দরকারী সাইটগুলো

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ
বাংলাদেশ করোনা-১৯ তথ্য
কোভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন





ইমার্জেন্সি

০১৭৮০৪০১০২৬

০১৩২৪৪১৯৭৭০

০১৭১১৬৯৮৭৫৬



আমাদের সম্পর্কে







জে ডি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্লিনিক (জে ডি প্যাথলজি সেন্টার) © 2024 |
Developed By - Bangladesh Website Development